Erectile dysfunction: সাধ আছে, সাধ্য নেই? লিঙ্গ শিথিলতার কারণ ও প্রতিকার জানুন, সম্পর্ক বাঁচান...
ধূমপান, অ্যালকোহল-সহ অন্য়ান্য নেশা বর্জন করতে পারলে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে। এ ব্যাপারে নির্ভরযোগ্য রাস্তা বলতে পারেন একমাত্র বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকেরাই। তবে আশার কথা হল, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই ধরনের সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। সাময়িক জটিলতা মাত্র
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পাবলিক টয়লেটে যারা দেখার তারা দেখে নেন। অনেক সেইসব ভুয়ো বিজ্ঞাপণের ফাঁদে পড়ে ফেঁসেও যান। তবে ইরেকটাইল ডিসফাংশান বা লিঙ্গ শিথিলতার মতো বাস্তব সমস্যা রীতিমতো একটা বড় ইস্যু। বহু সংসারে আশান্তির অন্যতম প্রধান কারণ। অত্যন্ত স্পর্শকাতর এই বিষয়টি বিছানায় পুরুষদের আতঙ্গের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সামাজিক সংকোচের কারণে কখনও উপযুক্ত চিকিত্সকের কাছে না গিয়ে অনেকে হাজির হন হার্বাল বা অন্য কোনও চিকিত্সকের কাছে। তাতে বিছানায় উত্তাপ বাড়া তো দূরের কথা আরও হতাশায় ডুবে যান অনেকে। এর থেকে রক্ষায় উপায় কী?
আরও পড়ুন-বাতিল বিশ্বভারতীর সমাবর্তন, 'বিস্ফোরক' অভিযোগ উপাচার্যের
কেন এমন সমস্যা
পুরুষদের যৌন উত্তেজনার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে একাধিক ফ্যাক্টর। এর সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে আবেগ, মস্তিষ্ক, হরমোন, পেশী ও রক্ত সংবহনতন্ত্রের সঙ্গে। যোগসাজস রয়েছে মানসিক চাপ, বিষন্নতা ও অন্যান্য মানসিক সমস্য়ার সঙ্গে। এর কোনও একটি ফ্যাক্টর ঠিক না থাকলেই সমস্য়া দেখা দিতে পারে যৌন জীবনে। যার একটা ফল হল লিঙ্গ শিথিলতা। মানসিক সমস্যাকে বেশি আমল দিলেই বেড়ে যেতে পারে এই সমস্যা। মস্তিষ্ক থেকে উপযুক্ত সংকেত পেলেই মানুষ যৌন উত্তেজনা অনুভব করে থাকে। এর পাশাপাশি পুরুষাঙ্গে উপযুক্ত রক্ত চলাচল ও স্নায়ুর উপযুক্ত কাজকর্মও এর সঙ্গে জড়িত।
কীভাবে বুঝবেন সমস্য়া
** উত্তেজনার সময়ে যথাযথ উত্থান না হওয়া।
** যৌন উত্তেজনা কমে যাওয়া বা উত্তেজনা অনুভব না হওয়া।
** উত্থান হলেও তা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে না পারা।
** দ্রুত বীর্যপাত হওয়া।
** উপযুক্ত উত্তেজনা থাকলেও অর্গ্যাজম না হওয়া।
এমন সমস্যা হলে কী করবেন
লিঙ্গ শিথিলতার মতো সমস্য়া হলে লজ্জা পেলেই বিপদ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এরকম সমস্য়া হলে সোজা চিকিত্সকের পরামর্শ নিন। অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় মানসিক সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারলেই সমস্য়া অনেকটা মিটে যায়। ডায়বেটিসের মতো বিষয়কে কাবু করতে পারলে অনেকটাই কাজ হবে। ধূমপান, অ্যালকোহল-সহ অন্য়ান্য নেশা বর্জন করতে পারলে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে। এ ব্যাপারে নির্ভরযোগ্য রাস্তা বলতে পারেন একমাত্র বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকেরাই। তবে আশার কথা হল, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই ধরনের সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। সাময়িক জটিলতা মাত্র। তাই ভয় পাওয়ার কিছু নেই।