ওয়েব ডেস্ক : খাস কলকাতায় ২০ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের মধ্যে বাড়ছে হঠাত্‍-মৃত্যুর সংখ্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি, বিশ্বজুড়ে বছরে প্রায় ৪ কোটি মানুষ সাডেন ডেথের শিকার। কীভাবে এড়ানো যাবে এই বিপদ? চিকিত্সকদের পরামর্শ, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা মাস্ট।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিশেষজ্ঞদের দাবি, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনই এর অন্যতম কারণ। ধূমপান, অ্যালকোহল, অতিমাত্রায় ফাস্টফুড, নিয়মিত ব্যায়াম না করা বা কম ঘুমানোর কারণেই হঠাত্‍ ডেকে আনতে পারে মৃত্যু। হয়ত শরীরে তেমন কোনও সমস্যাই নেই। তাই ডাক্তারের চেম্বারে যাওয়ারও প্রয়োজন পড়ে না। টেস্টের তো বালাই-ই নেই। ভাবছেন বিন্দাস আছেন। নাহ্। অজান্তেই আপনার শরীরে থাবা বসিয়েছে বিপদ। পরিণতি? হার্ট অ্যাটাক, ব্রেন স্ট্রোক।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি, বছরে প্রায় ৩ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষের হঠাত্‍ মৃত্যু হয়। তার মধ্যে ৪২ শতাংশ মানুষের অকালমৃত্যু। স্ট্রোকে মৃত্যু হয় ৫২.৮ শতাংশ। ৪০.৯ শতাংশের মৃত্যু হয় হার্ট অ্যাটাকে। চমকে ওঠার মতো তথ্য জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষায়। হার্টের অসুখের কিছু কিছু ওষুধের অনিয়ন্ত্রিত প্রয়োগই ডেকে আনতে পারে হঠাত্‍ মৃত্যু। তাহলে উপায়?


চিকিত্সকদের পরামর্শ, হঠাত্‍ মৃত্যু এড়াতে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতেই হবে। কী সেই টেস্ট? সিবিসি অর্থাত্‍ শরীরের হিমোগ্লোবিন, সাদা কণিকা ও প্লেটলেট গণনা। এইচবিএওয়ানসি অর্থাত্‍ ডায়াবেটিসের পরীক্ষা। টিএসএইচ অর্থাত্‍ শরীরে থাইরয়েড আছে কি না। সিরাম লিপিড প্রোফাইল অর্থাত্‍ রক্তে চর্বির পরিমাণ কেমন। কিডনি ফাংশন টেস্ট অর্থাত্‍ কিডনির কার্যক্ষমতা নির্ণয়। সিরাম ইউরিক অ্যাসিড অর্থাত্‍ রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ দেখা। ইউরিন ফর আর, এম অথবা ই। লিভার ফাংশন টেস্ট অর্থাত্‍ লিভারের কার্যক্ষমতা নির্ণয়। হেপাটাইটিস বি শরীরে আছে কি না, তা দেখার জন্য এইচবিএসএজি এবং অ্যান্টিএইচবিএস। হার্টের অবস্থা দেখতে ইসিজি। সাধারণত শ্বাসনালির সংক্রমণ বা নিউমোনিয়া শনাক্তকরণে এক্সরে টেস্ট। হৃদযন্ত্র স্বাভাবিকের চেয়ে বড় কি না বা ফুসফুসে জল জমেছে কি না। আল্টাসোনোগ্রাম অর্থাত্‍ পিত্তথলি বা পিত্তনালিতে পাথর আছে কি না। সার্বিকভাবে পেটের ভিতরের অঙ্গগুলোর গঠনগত সমস্যা আছে কি না, নিয়মিত তার পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্সকরা।


আরও পড়ুন, কড়া করে ভাজা আলুতে মারাত্মক বিপদ!