ওয়েব ডেস্ক : আমাদের দিন শুরু বা শেষ হয় দাঁত ব্রাশ করা দিয়েই। ঘুম থেকে উঠেই দাঁত ব্রাশ করা মাস্ট। ডিনারের পর, দাঁত ব্রাশ না করে ঘুমোতে যান না অনেকেই। কেউ কেউ তো লাঞ্চের পরেও দাঁত ব্রাশ করেন। সুন্দর দাঁত মানেই একগাল সুন্দর হাসি। কিন্তু, দাঁতের অতিযত্ন করছেন কি? মানে, যতবার খুশি দাঁত ব্রাশ করছেন বা মিনিটের পর মিনিট দাঁত ঘষেই চলেছেন? খুব ভুল করছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চিকিত্সকরা বলছেন, দিনে ২বার ব্রাশ করলেই যথেষ্ট। রাতে ডিনারের পর ঘুমোতে যাওয়ার আগে এবং সকালে ব্রেকফাস্ট করার পর। প্রতিবার ২ থেকে ৩ মিনিট ব্রাশ করলেই হবে। কীভাবে দাঁত মাজবেন? ব্রাশ করার সঠিক পদ্ধতি কী? ভাল মানের টুথব্রাশ ব্যবহার করতে হবে, যার শলাকাগুলো বেশি শক্ত বা বেশি নরম নয়। ৩ মাস অন্তর টুথব্রাশ পরিবর্তন করতে হবে। ব্রাশের শলাকাগুলো বেঁকে গেলেই ব্রাশ বদলাতে হবে।


টকজাতীয় খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দাঁত ব্রাশ না করাই ভাল। এইসময় দাঁতের এনামেলের আবরণ নরম হয়ে পড়ে। তখন ব্রাশ ঘষলে এনামেল ক্ষয়ে যাবে। দাঁত মাজার আগে ব্রাশটি ভাল করে ভিজিয়ে নরম করে নিতে হবে। দাঁত যেখানে মাড়ির সঙ্গে মিশেছে, ঠিক সেইখানে ব্রাশের শলাকা ধরতে হবে। মাড়ি ও দাঁতের সংযোগস্থল বরাবর ব্রাশ ঘষতে হবে।


ব্রাশের শলাকাগুলো দাঁতের সঙ্গে ৪৫ ডিগ্রি কোনাকুনি ধরে ওপর পাটির দাঁত ওপর থেকে নিচে এবং নিচের পাটির দাঁত নিচ থেকে ওপরে ব্রাশ করতে হবে। ছোট ছোট গোলাকার আকারে হালকা করে ব্রাশ করতে হবে। ওপর ও নিচের পাটির প্রত্যেক দাঁতের ওপর হালকাভাবে আগুপিছু করে ব্রাশ করতে হবে। দাঁতের একদম ভিতরের দিকে দাঁত ও মাড়ির সংযোগস্থলে হালকা করে ব্রাশ করতে হবে। ছোট ছোট গোলাকার আকারে  দাঁত ও মাড়ির সংযোগস্থল বরাবর ব্রাশ করতে হবে।


ব্রাশটাকে এমনভাবে ধরতে হবে যাতে শলাকার সামনের দিকে অর্ধেক অংশ ওপর-নিচ বরাবর দাঁতের ভিতরের দিকে ব্রাশ করা যেতে পারে। সঠিক পদ্ধতি ও সময় মেনে দাঁত না মাজলে গোল্লায় যাবে দাঁত। শুধু দাঁত নয়, বারোটা বাজবে শরীরের। কারণ, দাঁতের স্বাস্থ্যের সঙ্গে লুকিয়ে রয়েছে গোটা শরীরের স্বাস্থ্য। দাঁতে গর্ত হবে। মুখে দুর্গন্ধ। অসময়ে দাঁত পড়ে ফোকলা হয়ে যেতে পারেন। মাড়ির রোগ, এমনকী মুখের ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। এ ছাড়াও হার্টের রোগ, স্ট্রোক, ফুসফুস দুর্বল হয়ে পড়া বা ডায়াবেটিসের মতো ডেঞ্চারাস রোগের অন্যতম কারণ অসুস্থ দাঁত।


আরও পড়ুন, শসা খান বুঝেশুনে, নইলে ঘটতে পারে ভয়ঙ্কর বিপদ!