নিজস্ব প্রতিবেদন: মুক্তির দিন-ক্ষণ ঘিরে ধোঁয়াশার মধ্যেই শুরু হচ্ছে ভারতে তৈরি করোনা প্রতিষেধক Covaxin-এর প্রথম পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়াল! জানা গিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে ৩৭৫ জন স্বেচ্ছাসেবকের উপর Covaxin প্রয়োগ করা হবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হায়দরাবাদের ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা ভারত বায়োটেকের (Bharat Biotech) তৈরি এই করোনা প্রতিষেধক (COVAXIN) ইতিমধ্যেই ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার (DCGI) থেকে হিউম্যান ট্রায়ালের অনুমতি পেয়ে গিয়েছে। ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ’ (ICMR) এবং ন্যাশনাল ভায়রোলজি ইনস্টিটিউট (NIV)-এর গবেষকরা যৌথ ভাবে তৈরি করেছেন ভারতের প্রথম করোনা টিকা COVAXIN।


জানা গিয়েছে, আগামী ১৩ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে Covaxin-এর প্রথম পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়াল। দু’টি পর্যায়ে মোট ১,১০০ জন স্বেচ্ছাসেবকের উপর Covaxin পরীক্ষামূলক ভাবে প্রয়োগ করা হবে। এই ট্রায়ালের জন্য হায়দরাবাদের নিজাম ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস, দিল্লি ও পটনার AIIMS-সহ মোট ১২টি প্রতিষ্ঠানকে বেছে নিয়েছে ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ’ (ICMR)।


আরও পড়ুন: ২০২১-এর আগে মিলবে না করোনার টিকা; জানিয়েও প্রেস বিজ্ঞপ্তি মুছে দিল বিজ্ঞান মন্ত্রক!


ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (ICMR) জানিয়েছে, প্রতিষেধক তৈরির ক্ষেত্রে কোনও রকম ঝুঁকি নেওয়া হচ্ছে না। প্রতিষেধক তৈরির ক্ষেত্রে সব রকম নিয়ম-কানুন মেনেই এগোচ্ছে সংস্থাগুলি। প্রথম দুটি পর্যায়ে প্রতিষেধকটি কতটা নিরাপদ (Safely) তা দেখে নেওয়া হয়। তৃতীয় পর্যায়ে প্রতিষেধকের কার্যকারিতা (Efficacy) দেখেন বিজ্ঞানীরা। এই প্রতিটি পর্যায়ে অন্তত দুই থেকে তিন মাস সময় লাগতে পারে। কখনও আবার তার চেয়ে বেশিও সময় লেগে যেতে পারে। তবে Covaxin-এর সুরক্ষা সম্পর্কিত সমস্ত দিক বিস্তারিত ভাবে পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ করে সম্পূর্ণ রূপে নিশ্চিত হওয়ার পরেই এটিকে বাজারে ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ICMR।