নিজস্ব প্রতিবেদন: বর্তমানে সারা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মহিলাদের কাছে স্তন ক্যান্সার একটি মারাত্মক আতঙ্কের নাম। ইদানীং চরিত্র বদলে বিপুল আগ্রাসী হয়ে উঠছে স্তন ক্যানসার। স্তন ক্যান্সারের সবচেয়ে বড় ভয়ের দিক হল, এক বার সেরে যাওয়ার এক থেকে দু’ বছরের মধ্যে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই রোগ আবার ফিরে আসছে রোগীর দেহে!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু-এর একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, প্রতি বছর প্রায় ১৩ লক্ষ ৮০ হাজার মানুষ নতুন করে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন এবং ৪ লক্ষ ৫৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে এই রোগে। হু-এর একটি সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতি ২২ জন ভারতীয় মহিলাদের মধ্যে ১ জন স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত। আর স্তন ক্যানসারে আক্রান্তদের মধ্যে ৫০ শতাংশেরই মৃত্যু হচ্ছে এই রোগে। বর্তমানে ২৫-৩০ বছরের মহিলারাও আক্রান্ত হচ্ছেন স্তন ক্যানসারে। এ দিকে এই বয়সের মহিলাদের বিকিরণের ক্ষতিকর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কায় ম্যামোগ্রাম টেস্টের পরামর্শ দেন না চিকিত্সকেরা। ফলে বিপদ ক্রমশ বেড়েই চলেছে! তবে স্তন ক্যানসার শনাক্ত করার ক্ষেত্রে বিকল্প উপায় আবিষ্কার করেছেন একদল ভারতীয় বিজ্ঞানী।



কেরলের ত্রিচূড়ে অবস্থিত ‘সেন্টার ফর মেটেরিয়ালস ফর ইলেকট্রনিকস টেকনোলজি’ (সি-মেট) মহিলাদের জন্য একটি বিশেষ অন্তর্বাস বা ব্রা তৈরি করেছেন। এই ব্রা-তে রয়েছে একটি সেন্সর যা স্তনে ক্যানসারে আক্রান্ত কোষকে শনাক্ত করতে সক্ষম। থার্মাল ইমেজিংয়ের মাধ্যমে এই সেন্সর ক্যানসারে আক্রান্ত কোষ শনাক্ত করবে। সি-মেট-এর বিজ্ঞানীদের দাবি, এতে রেডিয়েশন বা বিকিরণের ক্ষতিকর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা নেই। কারণ, ত্বকের তাপমাত্রার তারতম্য এ ক্ষেত্রে ক্যানসারে আক্রান্ত কোষ শনাক্ত করার কাজ করবে।


আরও পড়ুন: হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে ডিম, বাড়ে মৃত্যুর আশঙ্কাও! দাবি গবেষণায়


এই আবিষ্কারের জন্য সম্প্রতি রাষ্ট্রপতির থেকে ‘নারী শক্তি’ পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন প্রকল্পের শীর্ষ কর্তা এ সীমা। তিনি জানান, ২০১৪ সাল থেকে দীর্ঘ চার বছরের গবেষণার ফসল এই থার্মাল ইমেজিং সেন্সর যুক্ত ব্রা। ইতিমধ্যেই মোট ৩১৭ জন পরীক্ষামূলক ভাবে এই ব্রা ব্যবহার করেছেন। এর মধ্যে ১১৭ জন স্তন ক্যানসারের রোগী। সি-মেট-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, থার্মাল ইমেজিং সেন্সর যুক্ত এই বিশেষ ব্রা এর দাম ৪০০-৫০০ টাকা। বাণিজ্যিকীকরণের পর এর দাম অনেকটাই কমবে বলে বিশ্বাস এ সীমার। সেন্সর যুক্ত এই বিশেষ ব্রা নিয়ে এখনও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। আশা করা হচ্ছে পরবর্তী এক বছরের মধ্যেই এটি বাণিজ্যিক ভাবে দেশের সর্বত্র পাওয়া যাবে।