চকলেট নিয়ে দারুণ মিষ্টি কিছু তথ্য
১) মুখ চকলেট গলে যাওয়ার অনুভূতির তৃপ্তি চুম্বনের চেয়েও বেশি তৃপ্তির-এক গবেষণায় প্রকাশ চকলেট খাওয়ার পর তা মুখে গলে যাওয়ার তৃপ্তি বা অনুভূতি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চুম্বনের থেকেও বেশি তৃপ্তির। ইউরোপের ৭০ শতাংশ মানুষ এই কথা স্বীকারও করেছেন।
২) নোবেল জেতার সঙ্গে চকলেটের যোগাযোগ আছে!!!-- মজার কথা হলেও সত্যি নোবেল জেতার সঙ্গে চকোলেটের যোগাযোগ আছে। দেখা গিয়েছে দুনিয়ায় যে সব দেশ সবচেয়ে বেশি চকোলেট খায় সে সব দেশ বেশি নোবেল জিতেছে। এই পরিসংখ্যানটা নেহাতই কাকতালীয় হলেও এটা ঠিক যে এটা চকলেট কগনেটিভ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। যে কারণে মানুষের জিনিয়স হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
৩) একসঙ্গে বেশি চকলেট খেয়ে মৃত্যুর ঘটনা বেশ কয়েকবার ঘটেছে-- চকলেটে উচ্চমাত্রার থিব্রোমাইন নামের এক উপাদান থাকে যা খুব বেশি মাত্রায় শরীরে প্রবেশ করলে হার্ট, কিডনি ক্ষতি করতে পারে। একসঙ্গে ৪০টা ডেয়ারি মিল্কের বার খেলে এই রকম হতে পারে। একসঙ্গে অনেক চকলেট খেয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বেশ কয়েকবার।
৪) সাদা চকলেট কিন্তু আসল চকলোট নয়--সাদা চকলেটে কোকো থাকে না।
৫) দুনিয়ার সবচেয়ে দামি চকোলেট হল ১০০ বছরের পুরনো ক্যাডবেরি-ক্যাপ্টেন রবার্ট স্কট যখন আন্টার্টিকা আবিষ্কার করেন, সেই ঐতিহাসিক সফরে তিনি যে চকলেট না নিয়ে গিয়েছিলেন সেটা ভারতীয় মুদ্রায় ৪৬ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছিল। সেটাই সবচেয়ে দামি চকলেট।
৬) চকোলেট বারের লোভে নিজের অতি গোপন কথা বলে দেওয়ার ঘটনা বহুক্ষেত্রে ঘটেছে-- যৌনতা, অর্থের পর সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটা মানুষের সিদ্ধান্ত বা গোপনীয়তা জানার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় তা হল চকলেট। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে পাসওয়ার্ড বলে দেওয়ার কারণ হিসেবে অনেকে বলেছেন চকলেট লোভের কথা।
৭) খুব ক্লান্ত লাগলে চকোলট খান-একটা চকলেট খেলে ১৫০ ফুট হাঁটার ক্ষমতা পাওয়া যায়।
৮) প্রত্যেক মার্কিন ও রাশিয়ান মহাকাশচারীরা মহাকাশে যাওয়ার সময় তাদের নিয়ে চকোলেট নিয়ে গিয়েছেন- হ্যাঁ, মহাকাশচারীরা বলছেন এ কথা।
৯) চকোলট খেলে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল প্রভাবের জন্য দাঁতের ক্ষয় প্রতিরোধ হয়- হ্যাঁ, উল্টপূরাণ হলেও সত্যি।
১০) কোথায় চকলেট- কোকোর উৎপত্তি আমেরিকায়, তারপরও পৃথিবীর দুই-তৃতীয়াংশ চকলেট আজকাল পশ্চিম আফ্রিকায় উৎপাদিত হচ্ছে, যার অর্ধেকই আসছে আইভোরিকোস্ট থেকে।