করোনা রুখতে আদৌ কি কার্যকর Arsenicum alb 30? সার্কুলার নিয়ে বিতর্ক চিকিৎসক মহলে
করোনা প্রতিষেধক হিসেবে হ্যোমিওপ্যাথি ভাল কাজ করবে বলে শুরুতেই অনেকে মতামত দিয়েছিলেন। দিনকয়েক আগেই মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আর্সেনিক অ্যালবাম ৩০ ওষুধটি গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছিল সেন্ট্রাল হোমিওপ্যাথিক কাউন্সিল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দরকার আর্সেনিক অ্যালবাম ৩০। সম্প্রতি আয়ুস মন্ত্রকের এক সার্কুলারে এমন দাবি করা হয়। আর তারপর থেকেই এই ওষুধ কেনার হিরিক লাগে। ফলে শহরের অধিকাংশ হ্যোমিওপ্যাথি দোকানেই মিলছে না এই ওষুধ। আবার আদতে এই ওষুধ কতখানি কার্যকর তা নিয়েও শুরু হয়েছে বিতর্ক। খোদ হ্যোমিওপ্যাথি চিকিৎসকরাই এ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন। তাদের প্রশ্ন করোনার মতো নভেল ভাইরাস প্রতিরোধে এটা কিভাবে সম্ভব?
করোনা প্রতিষেধক হিসেবে হ্যোমিওপ্যাথি ভাল কাজ করবে বলে শুরুতেই অনেকে মতামত দিয়েছিলেন। দিনকয়েক আগেই মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আর্সেনিক অ্যালবাম ৩০ ওষুধটি গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছিল সেন্ট্রাল হোমিওপ্যাথিক কাউন্সিল। ৬ মে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সার্কুলার দিয়ে এই ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। তাদের পরামর্শ মেনে বিতরণ করেন। এর পরই শহরের একাধিক জায়গায় ওষুধ কেনার চাহিদা তুঙ্গে পৌঁছে যায়।
শহরের বহু দোকানে এই ওষুধ কার্যত অমিল হয়ে যায়। দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে এক ক্রেতা জানান, বহু দোকান ঘুরে এই ওষুধ পেয়েছেন পার্কস্ট্রিট থেকে। ওষুধের দোকানের মালিক জানান লকডাউনের আগে থেকেই মানুষ ওষুধটি নিচ্ছেন। কিন্তু কতটা কার্যকর এই ওষুধ, প্রশ্ন তুলেছেন বিশিষ্ট হ্যোমিওপ্যাথি চিকিৎসক ডাঃ আর পি মুখার্জি।
তাঁর কথায় করোনা চরিত্র বদলাচ্ছে। ফলে একটি মাত্র ওষুধ সকলের জন্য প্রযোজ্য হবে সেটা বলা যায় না। তাছাড়া ওষুধের কার্যকারিতা না থাকলেও একটা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকবে। ফলে ওই ওষুধ শরীরের অন্য কোনও রোগকে বাড়িয়ে দিতে পারে এমন আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তাহলে কী ব্যবহার করলে আপাতত স্বস্তি দিতে পারে? ডাঃ মুখার্জির কথায়, ঘরোয়া মশলা গোল মরিচ, দার চিনি, হলুদ চিবিয়ে খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব। তবে বিতর্ক যাই থাকুক আশার এক টুকরো আলোয় লম্বা লাইনে অপেক্ষায় আম জনতা।