বায়োপসি মানেই কি ক্যানসার?
বায়োপসি। শব্দটা শুনলে বুক কেঁপে ওঠে অনেকেরই। কারণ, এর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে ক্যানসারের। অজানা আতঙ্ক আর অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে দাঁড়িয়ে থাকে গোটা একটা জীবন। কিন্তু সত্যিই কি তাই? বায়োপসি মানেই কি ক্যানসার? চলুন দেখে নেওয়া যাক।
ওয়েব ডেস্ক: বায়োপসি। শব্দটা শুনলে বুক কেঁপে ওঠে অনেকেরই। কারণ, এর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে ক্যানসারের। অজানা আতঙ্ক আর অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে দাঁড়িয়ে থাকে গোটা একটা জীবন। কিন্তু সত্যিই কি তাই? বায়োপসি মানেই কি ক্যানসার? চলুন দেখে নেওয়া যাক।
শরীরের কোনও অংশে টিউমার অথবা ঘা। চিকিত্সক নিশ্চিত হতে পারছেন না ঠিক কী কারণে এমনটা হচ্ছে। অতএব তাঁর নিদান বায়োপসির। আর প্রেসকিপশন হাতে পেয়েই ভয়ে ঘুম ছুটে যাওয়ার জোগাড় রোগীর।
চিকিতসকেরা বলছেন, বায়োপসি মানেই কিন্তু ক্যানসার নয়। সাধারণভাবে কী কারণে ঘা অথবা টিউমার বা অন্য কোনও অস্বাভাবিকতা যেখানেই চিকিতসকেরা বুঝতে পারেন না ঠিক কোন অসুখের জন্য এমনটা হচ্ছে সেখানেই তাঁরা বায়োপসি করতে বলেন। যেমন, গ্ল্যান্ড ফোলা, চামড়ার কোনও অসুখ, জিভে ঘা, স্তনে টিউমার।
সাধারণত তিন রকম পদ্ধতিতে বায়োপসি করা হয়-
১) সূচ ফুটিয়ে রস টেনে নিয়ে পরীক্ষা। এই পদ্ধতিকে বলা হয় ফাইন নিডল অ্যাসপিরেশনস সাইটোলজি বা FNAC।
২) সূচ ফুটিয়ে মাংসের কিছুটা অংশ নিয়েও বায়োপসি করা যায়।
৩) এছাড়া সংক্রামিত অংশের মাংস কেটেও বায়োপসি করা হয়।
অনেকের মধ্যেই ধারনা রয়েছে, বায়োপসি করলে ক্যানসার ছড়িয়ে পড়তে পারে। কিন্তু চিকিত্সকের বলছেন এর ঠিক উল্টো কথা। তবে আজকাল এই ধারনা অনেকটাই বদলেছে বলে মনে করছেন চিকিতসকেরা। কিছু প্রচলিত ধারনার বদল এবং সচেতনতা বাড়লেই এমন ভয় কাটবে বলেই জানাচ্ছেন তাঁরা।