নিজস্ব প্রতিবেদন: প্লাজমা বা রক্তরস ব্যবহার করে করোনা সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠা মানুষের অ্যান্টিবডি কাজে লাগিয়ে ভাইরাসকে প্রতিহত করার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। করোনার রুখতে সক্ষম, এমন অ্যান্টিবডি আবিষ্কারের প্রায় দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে বিজ্ঞানীরা। এরই মধ্যে নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ওই গবেষণার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, করোনার বিরুদ্ধে শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠার ঘটনা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এখনও অধরা! সাম্প্রতিক এই সমীক্ষার রিপোর্ট চিন্তা বাড়িয়েছে বিজ্ঞানীদের। কারণ, শরীরে করোনার বিরুদ্ধে স্বাভাবিক ভাবে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে না ওঠা পর্যন্ত ওষুধ, প্রতিষেধে ভাইরাসের বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদী সুরক্ষা মেলা সম্ভব নয়।


সম্প্রতি জেনেভা সেন্টার ফর এমার্জিং ভাইরাল ডিজিডেস (Geneva Centre for Emerging Viral Diseases) আর জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা যৌথ ভাবে স্পেনের বিপুল সংখ্যক মানুষের উপর সমীক্ষা চালিয়ে জানতে পেরেছেন, সে দেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র ৫ শতাংশের মধ্যেই করোনাভাইরাস-রোধী অ্যান্টিবডির অস্তিত্বের প্রমাণ মিলেছে। অর্থাৎ, স্পেনের মোট জনসংখ্যার ৯৫ শতাংশেরই করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। প্রায় ২৫ লক্ষ করোনা আক্রান্তকে পর্যবেক্ষণ করার পর এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।


আরও পড়ুন: বাতাসে ভেসে বেড়ায় করোনা, বিপজ্জনক বদ্ধঘর, দাবি বিজ্ঞানীদের একাংশের


সম্প্রতি আয়ারল্যাণ্ডের রাজধানী শহর ডাবলিনের ট্রিনিটি কলেজের (Trinity College in Dublin) একদল গবেষক এবং নেক্সু সায়েন্স কমিউনিকেশন (Nexu Science Communication)-এর যৌথ উদ্যোগে চালানো একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে, করোনা সংক্রমণ কাটিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার দু’-তিন মাসের মধ্যেই প্রায় ৭০ শতাংশ আক্রান্তের শরীরে অ্যান্টিবডির প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই হ্রাস প্রায়। ফলে সব মিলিয়ে এই তথ্যগুলি চিন্তা চিন্তা বাড়াচ্ছে বিজ্ঞানীদের।