ওয়েব ডেস্ক: ছোট থেকে বড়। কারুরই রেহাই নেই সর্বনাশা এ রোগের হাত থেকে। দুনিয়াজুড়েই আশঙ্কা জনকভাবে বাড়ছে ডায়বিটিস বা মধুমেহর প্রকোপ। নীরব ঘাতক ডায়াবেটিস। বর্তমানে সারা বিশ্বে ২৫০ কোটি মানুষ ডায়াবেটিস আক্রান্ত। ৫ বছর বাদে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ৩৮০ কোটি। নীরব ঘাতকের কোপে প্রতি ১০ সেকেন্ডে মৃত্যু হচ্ছে ১জনের। ভারতে প্রায় ১০ লক্ষ শিশু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। যাদের রোগ নিয়ন্ত্রণে ইনসুলিন প্রয়োগ করতে হয়


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দেশের মোট জনসংখ্যার ১ শতাংশ শিশু  ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। আম্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফাউন্ডেশন বা আইডিএফের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াবে ১০ কোটি। এশিয়া ও  মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে ডায়বিটিস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।


ডায়াবেটিস বেশি বয়সের রোগ, এধারণা ক্রমশ বদলাচ্ছে। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, শিশুদের মধ্যেই আশঙ্কাজনক ভাবে বাড়ছে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা।


মূলত ডায়াবেটিস দুধরণের-


১) টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস- এই রোগে অগ্ন্যাশয়ের যে কোষগুলি ইনসুলিন তৈরি করে সেগুলি ধ্বংস হয়ে যায়। যাদের টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস আছে তাদের ইনসুলিন লক্ষণ হয় অতি সামান্য। দাওয়াই- ইনসুলিন ইঞ্জেকশন অথবা ইনসুলিন পাম্প। শিশু ও তরুণদের মধ্যেই এই রোগের প্রবণতা বেশি।


টাইপ ২ ডায়াবেটিস- এক্ষেত্রে শরীরে  যে ইনসুলিন উত্‍পন্ন হয়, সেই ইনসুলিন শরীর ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়। বিশ্বের ৯০ শতাংশের বেশি হল টাইপ ২ ডায়াবেটিস।


শিশুদের ডায়াবেটিসের সংকেত:


ঘনঘন প্রস্রাব, অতিরিক্ত জলতেষ্টা, ক্লান্তিতে মনোযোগের অভাব, ঝাপসা দৃষ্টি, বমি ও পেটে ব্যথা।


শিশুদের ডায়াবেটিসের কারণ:


অস্বাস্থ্যকর খাদ্য, ফল ও শাকসব্জী কম খাওয়া, অতিরিক্ত ফ্যাট জাতীয় খাবার  খাওয়া।


মোকাবিলার উপায়:


১) বাচ্চার ওজন স্বাভাবিকের থেকে বেশি হয়ে যাচ্ছে কিনা খেয়াল রাখুন।


২) বাচ্চাকে ক্রিকেট বা ফুটবলের মতো শারীরিক পরিশ্রমসাধ্য খেলায় উত্‍সাহিত করুন।


৩) নিয়মিত ব্যয়াম করান।


৪) খাদ্যতালিকায় শাকসব্জি ,ফল ও পুষ্টিকর খাবার রাখুন।


৫) টিফিনে জাঙ্ক ফুডের পরিমাণ কমান।


৬) প্রতিদিন একটু যোগাভ্যাস বাচ্চাদের শরীর সুস্থ রাখে।


সাধারণ এই কয়েকটি দিকে একটু খেয়াল রাখলেই মারণরোগের হাত থেকে বাঁচাতে পারবেন আপনার সন্তানকে।