নিজস্ব প্রতিবেদন: লিপস্টিকে ঠোঁট তো রাঙাচ্ছেন। সেই রং পেটে গিয়ে ক্ষতিও কম করছে না। হাতের সামনেই রয়েছে ম্যাজিক ফল। ফল দিয়ে ঠোঁট রাঙান। রান্নাতেও রং আনুন ম্যাজিক ফলে। নিজেকে আরও আকর্ষণীয় এবং রূপমতী করতে ঠোঁট রাঙান না এমন নারী খুঁজে পাওয়া দুর্লভ। লাল, নীল, গোলাপি, সবুজ, ঠোঁটে  কতই না রঙের বাহার। কিন্তু বাজারচলতি বহু লিপস্টিকে লুকিয়ে রয়েছে ক্ষতিকর কেমিকেল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বেঞ্জোফেনান নামে এক ধরনের টক্সিক কেমিকেল অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে বাঁচায়। কিন্তু এই কেমিকেলটি ক্যানসারের মতো মারণব্যাধির অন্যতম কারণ বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। উপায় কী? বহুজাতিক কোম্পানির লিপস্টিকের দিন কি তাহলে শেষ? আম, পেয়ারার মতো গাছ থেকে ফল পেড়ে ঠোঁটে লাগালেই কেল্লা ফতে। নদিয়ার ফুলিয়ায় রাজ্য সরকারের কৃষি দফতরের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বেড়ে উঠছে এই রূপবৃক্ষ। কমবয়সী মেয়ে থেকে গৃহবধূ, ফল পাড়ছেন আর ঠোঁট রাঙাচ্ছেন। কেউ কেউ সিঁদুর হিসেবেও ব্যবহার করছেন।


আরও পড়ুন- গন্ধ শুঁকে নির্ভুলভাবে ক্যান্সার শনাক্ত করতে পারে কুকুর! দাবি বিজ্ঞানীদের


এই রঙ সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক। কোনও সাইড এফেক্ট নেই। সপ্তাহভর বাড়ির একঘেয়ে খাবার খেয়ে জিভে চড়া? ছুটির দিনে তাই পাড়ার দোকান থেকে গরম গরম বিরিয়ানি। মনমাতানো গন্ধ, প্রাণকাড়া স্বাদ। আর দেখতেও অপূর্ব। রসনা না হয় তৃপ্ত হল। কিন্তু স্বাস্থ্য?


বহুক্ষেত্রে বিরিয়ানির রং ধরাচ্ছে মেটানিলইয়েলোনামের এক রাসায়নিক। যা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। উপায় কী? ভেষজ রং হিসেবে বিরিয়ানি, বোঁদে, জিলিপি, জ্যাম, জেলি, আইসক্রিম, কেকে ব্যবহার করা যায় লিপস্টিক গাছের ফল। বিক্সিন নামের যৌগই এই গাছের বীজের রঙের মূল উপাদান। গরম জলে বা ইথাইল অ্যালকোহলে মিশিয়ে বীজ থেকে পাওয়া রং বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।