বিশ্বে বেশির ভাগ মহিলাদের মধ্যেই স্তন ক্যান্সারের প্রভাব দেখতে পাওয়া যায়। স্তনে কিছু কোষ অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যাওয়ায়, অতিরিক্ত কোষগুলো বিভাজনের মাধ্যমে টিউমার বা পিন্ডে পরিণত হয়। এছাড়াও নির্দিষ্ট কিছু জীবনধারা, জিনগত কারণ গুলিও স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। এই ঝুঁকি কমানোর জন্য় জেনেটিক কারণগুলির কোনও পরিবর্তন ঘটানো যায় না। কিন্তু জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা গেলে রক্ষা পাওয়া যাবে এই রোগ থেকে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এক ঝলকে রইল কিছু সতর্কতা...


১) তাজা ফল ও ফ্ল্যাভোনয়েড যুক্ত শাক-সবজি খেলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কম হতে পারে। ফ্ল্যাভোনয়েডের উপশাখা, ফ্ল্যাভোনলস, ফ্ল্যাভোনস কোষ বিভাজন নিয়ন্ত্রন করে। এছাড়াও স্তন ক্যান্সারে কোষ বৃদ্ধি কম রাখে। বেগুন, টমেটো, গোলমরিচ, আপেল, ব্রকোলি ইত্যাদি স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। 


২) মা যদি তাঁর শিশুকে এক বছরের বেশি সময় ধরে স্তন্যপান করায়, তাহলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কম থাকে। কারণ, ব্রেস্ট মিল্কে আলফা ল্যাক্টালবুমিন ও ওলিক অ্যাসিড থাকে। যা কোষ গুলির অস্বাভাবিক আচরণ ক্ষমতাকে রোধ করে। 


৩) নিয়মিত শরীর চর্চা করলে দূরে থাকা যাবে স্তন ক্যান্সার থেকে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন শরীর চর্চা করলে ২৫-৩০ শতাংশ ঝুঁকি কম থাকে। 


৪) যেসব মেয়েরা অতিরিক্ত ধূমপান করে তাঁদের স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে। যারা ২০ বছরের বেশি সময় ধরে ধূমপান করছে, তাদের ৩৫ শতাংশ বেশি স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে। 


৫) অতিরিক্ত ওজন বেড়ে গেলেও হতে পারে স্তন ক্যান্সার। তাই মহিলাদের নিজের ওজন সম্পর্কে সচেতন থাকা উচিত। 


৬) অতিরিক্ত পরিমানে মদ্য পান করলেও হতে পারে স্তন ক্যান্সার। যে সব মহিলারা প্রতিদিন ৫-১২ গ্লাস মদ খান তাঁদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি থাকে।


৭) যেসব মহিলারা প্রায়োসই জন্ম নিয়ন্ত্রনের ওষুধ খান তাঁদের ক্ষেত্রে স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি থাকে।