নিজস্ব প্রতিবেদন: মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার জন্য মূলত দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাবার ও জীবাণু দায়ি। এ জন্য নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করা জরুরি। মুখে দুর্গন্ধ কাটাতে অধিকাংশ মানুষই ডেন্টাল ফ্লস বা মাউথওয়াস ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, শুধু মুখে দুর্গন্ধ কাটাতেই নয়, প্রাথমিক পর্যায়ে করোনা সংক্রমণ রুখতে সক্ষম মাউথওয়াশ!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সম্প্রতি ‘ফাংশন’ নামের একটি পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে কোরিয়া ইউনিভার্সিটি কলেজ অব মেডিসিন (Korea University College of Medicine)-এর একদল গবেষক এমনটাই দাবি করেছেন। তাঁরা জানান, সংক্রমণের প্রথম পর্যায়ে করোনাভাইরাস লালারসের মাধ্যমে গলা এবং স্যালাইভারি গ্ল্যান্ডে ছড়াতে শুরু করে। ভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষেত্রে তার বাইরের স্তর বা লিপিড মেমব্রেনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বিজ্ঞানীদের দাবি, মাউথওয়াশে থাকা রাসায়নিক উপাদান করোনাভাইরাসের এই লিপিড মেমব্রেনকে নষ্ট করে দিতে সক্ষম। ফলে ভাইরাসের সংক্রমণ বাধাপ্রাপ্ত হয়।


বিজ্ঞানীদের দাবি, বিশেষত ক্লোরহ্যাক্সিডিন (Chlorhexidine) মাউথওয়াশে থাকা উপাদান পোভিডোন-আয়োডিন, ইথানল এবং সেটিলপাইরিডিনিয়ামের মতো উপাদানগুলি লালারসের সঙ্গে মিশে থাকা করোনাভাইরাসের কণা ও তার লিপিড মেমব্রেনকে নষ্ট করে দিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।


এ বিষয়ে কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ভ্যালেরি ও’ ডোনেল জানান, কিছু মাউথওয়াশে পর্যাপ্ত পরিমাণে ‘ভাইরোসিডাল’ উপকরণ (যে রাসায়নিক উপাদানগুলি ভাইরাস কণাকে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম) থাকে যা সহজেই ভাইরাসের লিপিড মেমব্রেনকে নষ্ট করতে পারে।


আরও পড়ুন: চার মাসে ২৫০ শতাংশ দাম বেড়েছে N95 মাস্কের! নাগাল পেতে হিমশিম খাচ্ছে মধ্যবিত্ত


তবে এই মতবাদের সঙ্গে এক মত হতে পারেননি বিশ্বের অনেক দেশের বিজ্ঞানীরাই। কারণ, এই গবেষণাটির ফলাফল শুধুমাত্র কয়েকটি গবেষণাগারেই সীমাবদ্ধ পর্যবেক্ষণের উপর নির্ভশীল। তাছাড়া, শুধুমাত্র মুখের লালারসের সঙ্গে থাকা ভাইরাসের কণাকেই এটি নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম। বৃহত্তর ক্ষেত্রে এই তত্ত্ব যাচাই করা হয়নি। গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, এমন কোনও তথ্য, প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি যার থেকে এমনটা মেনে নেওয়া যায় যে, মাউথওয়াশ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কার্যকর হতে পারে। যদিও কিছু কিছু মাউথওয়াশের ব্যবহারে মুখের লালায় মজুত মাইক্রোব নিষ্ক্রিয় করে ফেলা যায়।