নিজস্ব প্রতিবেদন: দীর্ঘদিন ধরেই অ্যান্টিবডিকে কাজে লাগিয়ে করোনার টিকিৎসার চেষ্টা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। সে পথ ধরেই এগোচ্ছে করোনার প্রতিষেধক তৈরির কাজও। করোনার চিকিৎসায় আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রয়োগের অপেক্ষায় দিন গুণছে অন্তত তিনটি করোনা টিকা। এর মধ্যে অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনার প্রতিষেধকটির উৎপাদনের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’ (AstraZeneca)। ভারতেও এই করোনা টিকার উৎপাদন এ বার শুরু করতে চলেছে বিশ্বের বৃহত্তম টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট (Serum Institute of India)। কিন্তু এরই মধ্যে ভাইরাসকে প্রতিহতকারী শক্তিশালী বিশেষ কোষের সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানীর দাবি, তাঁরা এমন এক রকম শক্তিশালী কোষের সন্ধান পেয়েছেন, যেগুলি করোনাভাইরাসকে আক্রমণ করে পরাস্ত করতে সক্ষম। মার্কিন বিজ্ঞানীরা এই বিশেষ কোষের নাম দিয়েছেন ‘টি সেল’ (T cells)। বিজ্ঞানীদের দাবি, ১০ জনের মধ্যে ৮ জন করোনা আক্রান্তের শরীরেই এই ভাইরাস নিষ্ক্রিয়কারী শক্তিশালী ‘টি সেল’-এর উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে।


টি-সেল কী?


টি-সেল হল এক ধরণের শ্বেত রক্তকণিকা যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা ও তার (ইমিউন সিস্টেম) কার্যকলাপের অন্যতম অঙ্গ। এই টি-সেল শরীরে প্রবেশ করা ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া বা ছত্রাকের সংক্রমণকে প্রতিহত করে আমাদের সুস্থতা বজায় রাখে।


আরও পড়ুন: জুলাই থেকেই অক্সফোর্ডের করোনা টিকা উৎপাদনের কাজ শুরু করবে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট!


মার্কিন বিজ্ঞানীরা করোনা আক্রান্তের শরীর থেকে এই শ্বেত কণিকা (টি-সেল) সংগ্রহ করে সেগুলিকে পরীক্ষাগারে কৃত্তিম উপায়ে বিভাজিত ও বৃদ্ধি ঘটানোর কথা ভাবছেন। এর পর ওই কোষগুলির জিনগত পরিবর্তন ঘটিয়ে সেগুলিকে করোনাভাইরাসকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে চালিত করার কথা ভাবছেন। অর্থাৎ, করোনাভাইরাসকে রুখতে নতুন কৌশল, নয়া হাতিয়ার কাজে লাগাতে চাইছেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা। আর তাঁদের ভরসা যোগাচ্ছে করোনা আক্রান্তের শরীর থেকে পাওয়া শক্তিশালী বিশেষ ‘টি সেল’।