নিজস্ব প্রতিবেদন: সারা বিশ্বে লক্ষ লক্ষ মানুষ এখন করোনার কবলে। এখনও পর্যন্ত লক্ষাধিক মানুষের প্রাণ কেড়েছে এই ভাইরাস। কোথা থেকে, কী ভাবে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ল গোটা দুনিয়ায় তা জানার জন্য এর উৎস খোঁজার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন একাধিক দেশের শতাধিক বিজ্ঞানী ও গবেষক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এ পর্যন্ত পৃথিবীতে করোনার সমগোত্রীয় যে সমস্ত ভয়ানক ছোঁয়াচে ভাইরাস ঘটিত রোগ ছড়িয়েছে, তার জন্য মূলত দায়ী বাদুড়। তাই করোনার ক্ষেত্রেও প্রথমিক ভাবে বাদুড়ের উপরের গবেষণা চালাতে শুরু করেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, মালয়েশিয়া, উগান্ডা, বাংলাদেশ বা অস্ট্রেলিয়ায় মারবার্গে নিপা ও হেন্ড্রা-র মতো যে সমস্ত ভয়ঙ্কর ভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছিল সে ক্ষেত্রেও ভাইরাসের উৎস ও ধারক ছিল এই স্তন্যপায়ী প্রাণিটি।


একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বাদুড়ের শরীরই হল বিভিন্ন রকম ভয়ঙ্কর ভাইরাসের আঁতুড়। এদের শরীরে ইবোলা, রেবিস, সার্স, মার্স-এর মতো ভয়ঙ্কর সব ভাইরাসের বাস। এগুলির মধ্যে সার্স ও মার্স ভাইরাস সম্প্রতি করোনাভাইরাসের সমগোত্রীয় হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।



পেনসিলভেনিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর ইনফেক্সাস ডিজিজ ডায়নামিক্স (Pensylvania State University's Centre for Infectious Disease Dynamics)-এর একদল বিজ্ঞানী করোনাভাইরাসের উৎস খুঁজতে দীর্ঘদিন ধরেই গবেষণা চালাচ্ছিলেন। তিনটি আলাদা পদ্ধতি অনুসরণ করে করোনাভাইরাসের উৎস খোঁজার চেষ্টা চালিয়েছেন। এই গবেষণার পর তাঁদের মত, বহুযুগ ধরেই বাদুড়ের শরীরে ছিল করোনাভাইরাস! পরে তা মানুষের শরীরে কোনও ভাবে সংক্রমিত হয়েছে।


আরও পড়ুন: করোনা আগের তুলনায় এখন অনেক বেশি ছোঁয়াচে, তবে সে তুলনায় ততটা প্রাণঘাতী নয়! দাবি সমীক্ষায়


এই গবেষণায় দলের প্রধান ডঃ ম্যাকিয়েজ বনি জানিয়েছেন, এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে হর্স শু (Horseshoe Bats) প্রজাতীর বাদুড়দের মধ্যেই মূলত করোনার জীবাণুর অস্থিত্বের প্রমাণ মিলেছে। তাঁদের বিশ্বাস, বহুযুগ ধরেই হর্স শু (Horseshoe Bats) প্রজাতীর বাদুড়ের শরীরে এই ভাইরাস ছিল। এশিয়ায় এই ধরনের বাদুড়ই সবচেয়ে বেশি রয়েছে। তবে ঠিক কী ভাবে এই ভাইরাস মানুষের শরীরে সংক্রমিত হল, তা জানতে এখনও গবেষণার প্রয়োজন।