প্রাথমিক পর্যায়েই স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করবে এই ডিভাইজ! সময় লাগবে ১৫ মিনিট
এই ডিভাইসটির সাহায্যে প্রাথমিক পর্যায়েই স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করা গেলে অনেকের জীবন বাঁচানো সম্ভব হবে...
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রতি ২২ জন ভারতীয় মহিলাদের মধ্যে ১ জন স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত। প্রায় ৫০ শতাংশ স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত মহিলা এর তৃতীয় পর্যায়ে (থার্ড স্টেজ) চিকিত্সকের কাছে আসেন। স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত ২০ থেকে ২৫ শতাংশ রোগী একেবারে অন্তিম পর্যায়ে (ফোর্থ/লাস্ট স্টেজ) চিকিত্সা শুরু করেন।
গোটা বিশ্বে যেখানে স্তন ক্যানসারে আক্রান্তদের গড় বয়স প্রায় ৫০ বছর, সেখানে ভারতে ২০-৩০ বছরের মহিলারাও আক্রান্ত হচ্ছেন স্তন ক্যান্সারে। অর্থাৎ, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতে স্তন ক্যানসার অনেক বেশি আগ্রাসী এবং ভয়ঙ্কর গতিতে ছড়াচ্ছে! সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হল, চিকিত্সায় দেরির ফলে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশেরই মৃত্যু হচ্ছে এই রোগে। তাই প্রয়োজন উপযুক্ত সচেতনতার। প্রথমে শনাক্ত করা না গেলে, এটি প্রাণঘাতী হতে পারে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আশার আলো দেখাচ্ছে এক ভারতীয় সংস্থার তৈরি থার্মাল সেন্সর ডিভাইস। সংস্থার দাবি, এই ডিভাইসটি মাত্র ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যেই স্তন ক্যানসার সনাক্ত করতে সক্ষম।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যুক্ত বিশেষ এই থার্মাল সেন্সর ডিভাইস তৈরি করেছে চিকিৎসক গীতা মঞ্জুনাথের সংস্থা 'NIRAMAI'। ডঃ মঞ্জুনাথ জানান, এ দেশে স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করতে ম্যামোগ্রাফি ব্যবহার করা হয়। এই পদ্ধতিতে ৪৫ বছরের কম বয়সী মহিলাদের স্তন ক্যান্সার শনাক্তকরণে সাফল্যের হার আশাব্যঞ্জক নয়। তবে 'NIRAMAI'-এর তৈরি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যুক্ত সেন্সর এই ডিভাইসটি স্তনের তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করে ছবি তুলে তার অস্বাভাবিকতার বিষয়গুলিকে শনাক্ত করে ও বিশ্লেষণ করে। আর তার জন্য সময় লাগে বড়জোড় ১৫ মিনিট।
আরও পড়ুন: রোজ একটি করে আপেল বাড়াবে যৌন ক্ষমতা, কামেচ্ছা! দাবি গবেষকদের
এই থার্মাল সেন্সর ডিভাইসটি ২৫ হাজারেরও বেশি মহিলার পরীক্ষা করে দেখেছে 'NIRAMAI'। ইতিমধ্যেই এই ডিভাইসটি দেশের ১২টি শহরের (বেঙ্গালুরু, মাইসুরু, হায়দরাবাদ, চেন্নাই, মুম্বই, দিল্লির মতো বড় শহরের) ৩০টিরও বেশি হাসপাতালে ব্যবহৃত হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ৫০ কোটি টাকার তহবিলও পেয়েছে ‘NIRAMAI’। এই থার্মাল সেন্সর ডিভাইসটির সাহায্যে প্রাথমিক পর্যায়েই স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করা গেলে অনেকের জীবন বাঁচানো সম্ভব হবে বলে আশা ডঃ মঞ্জুনাথের।