নিজস্ব প্রতিবেদন: ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ছাড়াও যে কোনও মহিলাই হতে পারেন সারোগেট মা। এমনি একটি পরামর্শ দিল সংসদীয় প্যানেল। যে কোনও মহিলা চাইলেই এই পদ্ধতিতেই হতে পারেন মা। এমন অনেক দম্পতি বা মহিলা আছেন যাঁরা বহুদিন ধরে চেষ্টা করেও কোনও সন্তানের জন্ম দিতে পারেননি। তাঁদের জন্য এটি বিরাট বড় সুখবর! একজন মহিলা হয়েও সন্তানের জন্ম না দিতে পারাটা খুবই যন্ত্রণার। কিন্তু বিভিন্ন কারণে অনেক মহিলাই মা হতে পারেন না। যেমন, জন্মগত ভাবে শরীরে জরায়ুর অনুপস্থিতি বা অকেজ জরায়ু, ফাইব্রয়েড বা কোনও শারীরিক অক্ষমতার কারণে স্বাভাবিক ভাবে গর্ভধারণ করা সম্ভব হয় না। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ক্ষেত্রে সারোগেসি হল একমাত্র উপায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত বছর ৫ অগস্ট লোকসভায় সারোগেসির বিল পাস হলেও, রাজ্য সভায় বিলটি পাস হয়নি। গত বছর ২১ নভেম্বর রাজ্যসভায় এই বিলটি পাঠানোর পর সংসদীয় কমিটি এই বিল নিয়ে ১০ বার বৈঠক করেছে। অবশেষে রাজ্যসভায় পেশ হতে চলেছে ২০১৯ সালের সারোগেসি বিল। বুধবার সংসদীয় কমিটির তরফে এমনটাই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। রাজ্যসভায় বিজেপি সাংসদ ভূপেন্দ্র যাদবের নেতৃত্বাধীন ২৩ সদস্যের কমিটির তরফে ওই বিলে ১৫টি পরিবর্তন আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ বার এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কী কী পরিবর্তনের প্রস্তাব আনা হয়েছে এই বিলে...


২৩ সদস্যের কমিটির আনা উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের প্রস্তাব সমূহ:


• আগে, বিয়ের পাঁচ বছরের মধ্যে কোনও সন্তান না হলে, পাঁচ বছর পর সারোগেসির সাহায্য নিতে পারতো কোনও পরিবার। কিন্তু সেই দীর্ঘ সময়সীমা কমিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে এই প্রস্তাবে।


• বিধবা হয়ে গিয়েছেন বা বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটেছে, এমন মহিলাদেরও সারোগেট মা হতে দেওয়া উচিত।


আরও পড়ুন: রুটি, পাউরুটিতেই লুকিয়ে বিপদ; বাড়ে বন্ধ্যাত্ব, ক্যান্সার, সিলিয়াক ডিজিজের ঝুঁকি!


• যাঁদের বয়স ৩৫ থেকে ৪৫ বছর, তাঁদেরও সারোগেট মা হতে দেওয়া উচিত। 


• কমিটিতে বলা হয়েছে যে, ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ছাড়াও অন্য যে কোনও মহিলা যদি সারোগেট মা হতে পারে, সে ক্ষেত্রে গর্ভধারণের সংখ্যা বাড়বে এবং অনেকই উপকৃত হবেন।


• সারোগেট মায়েদের ক্ষেত্রে বীমার পরিবর্তনের কথাও বলা হয়েছে। ১৬ মাসের জায়গায় ৩৬ মাসের বিমার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।