`Perfect storm`: বিশ্বজুড়েই ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন, ক্রমেই কি শক্তিশালী হয়ে উঠছে ভাইরাসটি?
পশ্চিম ইউরোপেও ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। এই ভাইরাস উপ প্রজাতিকে ইতিমধ্যেই সংক্রমক বলেছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিশ্বজুড়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা। অতিমারীর শেষ তো হয়ইনি, বরং একাধিক দেশে বেড়ে চলেছে ওমিক্রন দাপট৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ওমিক্রনের BA.2 প্রজাতি ক্রমেই বাড়ছে। তবে শুধু মার্কিন মুলুক নয়, ইউরোপেও বাড়ছে ওমিক্রন। পশ্চিম ইউরোপেও ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। এই ভাইরাস উপ প্রজাতিকে ইতিমধ্যেই সংক্রমক বলেছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
সান দিয়েগোর জিনোমিক্স সংস্থা হেলিক্স জানিয়েছে, চলতি মাসের জানুয়ারিতে এই উপপ্রজাতিটির খোঁজ পাওয়া যায় আমেরিকায়। তখন থেকেই নজর রাখছেন তাঁরা। সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, হেলিক্স সংস্থা সমীক্ষা করে জেনেছে যে বর্তমানে মার্কিন মুলুকে যতজন ওমিক্রন আক্রান্ত হচ্ছেন এর মধ্যে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ এই BA.2 তে আক্রান্ত।
অন্যদিকে, হোয়াইট হাউস প্রধান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ডঃ অ্যান্থনি ফাউসি বলেন, ওমিক্রনের থেকে BA.2 অনেক বেশি প্রায় ৬০ শতাংশ সংক্রামক। তবে প্রাণঘাতী হতে পারে এমনটা নয়। সংক্রামক প্রকৃতি হলেও মারণ ক্ষমতা সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি।
চিন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ইউরোপে নতুন করে এই ভাইরাসের দাপট দেখা যাচ্ছে৷ সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে অ্যান্থনি ফাউসি বলেন, সঠিক সময়ে টিকাকরণ, বুস্টার ডোজ নিলেই এই ভাইরাসকে কিছুটা হলেও রোখা যেতে পারে৷
অনেক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, BA.1 এর থেকে BA.2 ৩০ শতাংশ বেশি সংক্রামক হতে পারে। তবে এই ভাইরাসটিকে চোরা ওমিক্রন প্রজাতির মধ্যেই ফেলা হচ্ছে৷ কারণ এটিকে খুব সহজে শনাক্ত করা যাচ্ছে না।
অন্যদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে বলা হয়েছে BA.1 এবং BA.2 জিনগতভাবে অনেকটাই আলাদা। কিছু মিল আছে ঠিকই। কিন্তু অ্যামাইনো অ্যাসিডের পরিবর্তন হওয়ায় দুই উপপ্রজাতির স্পাইক প্রোটিনের চরিত্র আলাদা৷ তাই ডিএনএর দিক থেকেও এর চরিত্র অনেকটাই সংক্রমক।