নিজস্ব প্রতিবেদন: রাষ্ট্রসঙ্ঘ জানিয়েছে, প্রতিষেধক ছাড়া করোনাভাইরাসকে রোখা অসম্ভব! করোনা মোকাবিলায় প্রায় ১০০টি প্রতিষেধকের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ চলছে। এর মধ্যে ৪টির ক্ষেত্রে অগ্রগতি ও সাফল্য সবচেয়ে বেশি। এগুলির বাণিজ্যিক ভাবে উৎপাদন আর চিকিৎসায় প্রয়োগ শুরু হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। আসুন সেগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক...


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১) অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষেধক: COVID-19-এর বিরুদ্ধে অন্যতম সম্ভাব্য প্রতিষেধক তৈরি করছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। এটি ChAdOx1 nCoV-19 নামে পরিচিত। অ্যারফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট নিবিড় ভাবে এই প্রতিষেধক তৈরির কাজ করে চলেছে। সিরাম ইনস্টিটিউট এই প্রতিষেধক তৈরি করবে। সব ঠিক মতো চললে অক্টোবরের মধ্যেই COVID-19-এর এই প্রতিষেধক বাজারে চলে আসবে।


২) মোদের্না আরএনএ ভ্যাকসিন (Moderna RNA vaccine): আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস-ভিত্তিক বায়োটেক সংস্থা মোদার্নার এই প্রতিষেধক মেসেঞ্জার আরএনএ (জেনেটিক উপাদান) ভাইরাল প্রোটিন বা অ্যান্টিজেন তৈরি করে। এই অ্যান্টিজেন প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে প্ররোচিত করে এবং শরীরকে COVID-19-এর বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ গড়ে তুলতে সাহায্য করে। এই প্রতিষেধকের উত্পাদন করা সহজ, তবে এটি ব্যয়বহুল হতে পারে এবং এর সরবরাহ মার্কিন সরকারের মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রিত হবে।


৩) ফাইজার ভ্যাকসিন (Pfizer vaccine): ফাইজার এবং এর জার্মান অংশীদার বায়োএনটেক (BioNTech) চারটি প্রতিষেধকের উপর পরীক্ষা চালাচ্ছে। সংস্থাটির দাবি, যদি পরীক্ষা সফল হয়, তবে তারা এফডিএ-র কাছ থেকে অক্টোবরের প্রথম দিকেই জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োগের অনুমোদন চাইবে। শুধু তাই নয়, সংস্থাটির দাবি, তারা ২০২০ সালের মধ্যে ২০ মিলিয়ন (২ কোটি) ডোজ বাজারে ছাড়তে পারবে।


আরও পড়ুন: Covid-19: আমেরিকাকে পিছনে ফেলে করোনার ওষুধ রেমডেসিভিরের উৎপাদন শুরু করল বাংলাদেশ!


৪) সিনোভাক বায়োটেক ভ্যাকসিন (Sinovac Biotech vaccine): চিনের এই বায়োফর্মাসিউটিক্যাল সংস্থাটি তার COVID-19 প্রতিষেধক তৈরির ক্ষেত্রে অনেকটাই আশাবাদী। কারণ, এর আগে ২০০৩ সালে সারস ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিষেধক তৈরি করেছিল এই সংস্থা। নিজেদের তৈরি COVID-19 প্রতিষেধকের চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য এই সংস্থা ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO-এর সঙ্গে।