নিজস্ব প্রতিবেদন: এ পর্যন্ত লক্ষাধিক মানুষের প্রাণ কেড়েছে করোনাভাইরাস। হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিনই নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন এই ভাইরাসে। বিকল্প বা সহায়ক চিকিৎসায় অনেককেই সুস্থ করে বাড়ি ফেরানো গেলেও কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না ভাইরাসের সংক্রমণ!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

করোনার প্রতিষেধক বা নির্দিষ্ট ওষুধ আবিষ্কার না হওয়ায় এখনও অন্যান্য ভাইরাস ঘটিত রোগের ওষুধ বা অ্যান্টিবায়োটিকের সাহায্যে করোনা রোগীদের চিকিৎসা চালানো হচ্ছে সর্বত্র। আর এই বিকল্প ওষুধের প্রয়োগের ক্ষেত্রেই এ বার সতর্ক করে দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO। WHO-এর পক্ষ থেকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, করোনার চিকিৎসায় যথেচ্ছ অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োগে হিতে বিপরীত ফল মিলতে পারে। অত্যাধদিক অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োগে বাড়তে পারে মৃত্যুর ঘটনাও!


১ জুন, সোমবার জেনেভায় WHO-এর সদর দফতরে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে করোনার চিকিৎসায় যথেচ্ছ অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োগের বিষয়ে সতর্ক করে দেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রস আধানম ঘেব্রেইসাস। উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি জানান, করোনার চিকিৎসায় অত্যাধদিক অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োগের ফলে পরবর্তীকালে ব্যাক্টিরিয়ার সংক্রমণ ঠেকানো অসম্ভব হয়ে পড়বে। কারণ, এই অ্যান্টিবায়োটিকের অত্যাধদিক প্রয়োগের ফলে ব্যাক্টিরিয়ার মধ্যে এই ওষুধের প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠবে।


অ্যান্টিবায়োটিকের অত্যাধদিক প্রয়োগের বিষয়ে বছর খানেক আগেই সতর্ক করেছিল The Organisation for Economic Co-operation and Development বা OECD। একটি প্রতিবেদনে OECD-র পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ইদানীং অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলেই অধিকাংশ ব্যাকটেরিয়ার (সুপারবাগ) সংক্রমণ ঠেকাতে ব্যর্থ হচ্ছে অধিকাংশ প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিক।


আরও পড়ুন: করোনা-মুক্ত হওয়ার পরেও ওই আক্রান্তদের অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে রয়েছে প্রাণহানীর ঝুঁকি!


সেই আশঙ্কাই ফের শোনা গেল WHO-এর প্রধান টেড্রস আধানম ঘেব্রেইসাসের গলায়। তিনি উদ্বেগের সঙ্গে জানান, করোনার মোকাবিলায় অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের অতিরিক্ত ব্যবহারে অধিকাংশ ব্যাকটেরিয়ার মধ্যেই ওষুধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়ে যাচ্ছে, যা ভবিষ্যতে আরও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। তাঁ আশঙ্কা, অ্যান্টিবায়োটিকের ভুল প্রয়োগ বাড়িয়ে দিতে পারে মৃত্যুর হারও!