নিজস্ব প্রতিবেদন: বিশ্বজুড়ে অন্তত ১৫৫টি করোনার প্রতিষেধক নিয়ে গবেষণা চলছে। এর মধ্যে ২৩টি কার্যকর প্রতিষেধকের হিউম্যান ট্রায়াল চলছে। এই ২৩টি কার্যকর প্রতিষেধকের মধ্যে তিনটির চূড়ান্ত পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়াল চলছে। এর মধ্যে অন্যতম হল অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনা প্রতিষেধক (ChAdOx1 nCoV-19 বা AZD1222)।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি প্রতিষেধকটির তৃতীয় তথা শেষ পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। ব্রিটেন, আমেরিকা, ব্রাজিল মিলিয়ে ৪৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের উপর শেষ পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। শীঘ্রই শেষ হবে ট্রায়াল। কিন্তু কবে পাওয়া যাবে এই প্রতিষেধক? এ বার সে প্রশ্নের উত্তর মিলল।


লন্ডনের বার্কশায়ার রিসার্চ এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান ডেভিড কার্পেন্টার (David Carpenter) জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ হবে সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা। সেপ্টেম্বরের মধ্যেই মিলতে পারে অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনা প্রতিষেধক (ChAdOx1 nCoV-19 বা AZD1222)। বলে রাখা ভাল, অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনা প্রতিষেধকের ট্রায়ালের অনুমতি দেওয়া বা এর পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব রয়েছে এই বার্কশায়ার রিসার্চ এথিক্স কমিটির উপরেই।


ডেভিড কার্পেন্টার বলেন, “নির্দিষ্ট ভাবে কোনও তারিখ বলা হয় তো কারও পক্ষেই সম্ভব নয়। তবে মোটামুটি সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকেই মিলতে পারে অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনা প্রতিষেধক। শুরু থেকেই যাতে যথেষ্ট পরিমাণে টিকার যোগান দেওয়া যায়, সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছে উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি।”


আরও পড়ুন: সোমবার শুরু হচ্ছে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল! ৩৭৫ জনের উপর প্রয়োগ করা হবে ভারতের প্রথম করোনা টিকা Covaxin!


অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি প্রতিষেধকটির তৃতীয় তথা শেষ পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। করোনার বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদী প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম তাঁদের তৈরি টিকা, এমনটাই দাবি করেছেন অক্সফোর্ডের প্রতিষেধক গবেষণার প্রধাণ ডঃ সারা গিলবার্ট। ডঃ গিলবার্ট জানান, করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সফল হয়েছে এই টিকা। একাধিক পরীক্ষায় তার প্রমাণও মিলেছে। শুধু তাই নয়, তাঁদের তৈরি এই প্রতিষেধক করোনার বিরুদ্ধে বছর খানেক ধরে প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম, দাবি গিলবার্টের। তাই করোনার বিরুদ্ধে সবচেয়ে ‘নিরাপদ ও কার্যকরী’ প্রতিষেধের অপেক্ষায় রয়েছেন বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষ।