নিজস্ব প্রতিবেদন: হায়দরাবাদের ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা ভারত বায়োটেকের (Bharat Biotech) তৈরি COVAXIN এবং আহমেদাবাদের ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা জাইডাস ক্যাডিলার (Zydus Cadila) ZyCov-D— এই দু’টি করোনা প্রতিষেধক ইতিমধ্যেই ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার (DCGI) থেকে হিউম্যান ট্রায়ালের অনুমতি পেয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, আগামী ১৩ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে Covaxin-এর প্রথম পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়াল। জাইডাস ক্যাডিলার তৈরি করোনা টিকার ট্রায়ালও শুরু হচ্ছে খুব শীঘ্রই। এর মধ্যেই জানা গেল করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্বে সবচেয়ে আশা জাগানো অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনা প্রতিষেধকের (ChAdOx1 nCoV-19) মুক্তির দিন-ক্ষণ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইতিমধ্যেই এই প্রতিষেধকের উৎপাদনের কাজ শুরু করে দিয়েছে ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’ (AstraZeneca) আর বিশ্বের বৃহত্তম টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটও (Serum Institute of India)। এই টিকার উৎপাদনের কাজ শুরু হবে ব্রাজিলেও। বৃহস্পতিবার সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত বিশ্বের ‘সবচেয়ে নিরাপদ’ করোনা প্রতিষেধক হাতে পেতে আরও অন্তত ছয় মাস অপেক্ষা করতে হবে। ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার (DCGI) থেকে প্রতিষেধক উৎপাদনের ক্ষেত্রে ছাড়পত্র মিললেও বিশ্বজুরে চলা ট্রায়ালের ফলাফল না পাওয়া পর্যন্ত এটিকে বাজারে ছাড়া সম্ভব নয়। ট্রায়ালের ইতিবাচক ফলাফল এলে উৎপাদনের গতি বাড়িয়ে এই প্রতিষেধক বাজারে আসতে অন্তত মাস ছয়েক সময় লেগে যেতেই পারে। আশা করা হচ্ছে, ২০২০ সালের শেষেই এই টিকা বাজারে ছাড়া সম্ভব হবে।


আরও পড়ুন: করোনার বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদী প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম অক্সফোর্ডের টিকা! দাবি প্রধান গবেষকের


অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি প্রতিষেধকটির শেষ পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। তৃতীয় তথা শেষ পর্যায়ের ট্রায়ালে ৮,০০০ স্বেচ্ছাসেবকের উপর এই প্রতিষেধক প্রয়োগ করা হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে করোনার বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদী প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম তাঁদের তৈরি টিকা, এমনটাই দাবি করলেন অক্সফোর্ডের প্রতিষেধক গবেষণার প্রধাণ ডঃ সারা গিলবার্ট। ডঃ গিলবার্ট জানান, করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সফল হয়েছে এই টিকা। একাধিক পরীক্ষায় তার প্রমাণও মিলেছে। শুধু তাই নয়, তাঁদের তৈরি এই প্রতিষেধক করোনার বিরুদ্ধে বছর খানেক ধরে প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম, দাবি গিলবার্টের। তবে সব কিছুর আগে প্রতিষেধকের সুরক্ষার বিষয়টিকেই জোর দিয়ে দেখছেন অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীরা। এ ক্ষেত্রে কোনও রকম তাড়াহুড়ো করতে চাইছেন না তাঁরা।