এবার করোনা প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হল চণ্ডীগড়ে
এটি সফল হলে গতি আসবে করোনা আক্রান্তের চিকিৎসায়। দ্রুত সারিয়ে তোলা যাবে আরও অসংখ্য মানুষকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এখনও করোনাভাইরাসের প্রতিষেধকের উপর পরীক্ষা চলাচ্ছেন। চিন, ফ্রান্স-সহ একাধিক দেশে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির চেষ্টায় দিন-রাত এক করে গবেষণা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এরই মধ্যে আশার আলো দেখাচ্ছে চণ্ডীগড়ের পোস্ট গ্রাজুয়েট ইন্সটিটিউট অব মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (Post Graduate Institute of Medical Education & Research)-এর একদল গবেষক। সেখানে ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে করোনা প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ।
বুধবার সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে এ কথা নিজেই জানিয়েছেন এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত পোস্ট গ্রাজুয়েট ইন্সটিটিউট অব মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (PGIMER)-এর গবেষক ডঃ রাম বিশ্বকর্মা। ডঃ বিশ্বকর্মা জানান, এটি (Sepsivac) একটি ‘ইমিউনোমোডুলেটর’। মানব দেহে প্রয়োগের পর এটি ভাইরাসের বিরুদ্ধে শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এর পর ভাইরাস শরীরে আর সংক্রমিত হতে পারে না। ফলে চিকিৎসায় দ্রুত সাড়া মেলে।
ডঃ বিশ্বকর্মা জানান, মানব দেহে এই ভাইরাস প্রায় একমাস পর্যন্ত সক্রিয় থাকে। তাই কোনও করোনা আক্রান্ত রোগী সেরে ওঠার পর তাঁর শরীরে যদি এই প্রতিষেধক প্রয়োগ করা যায়, তাহলে ফরে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কোনও ভয় আর থাকবে না।
এ বিষয়ে মোহালির ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ-এর অধ্যাপক ভাইরাস বিশেষজ্ঞ ডঃ ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এটিকে করোনার প্রতিষেধক বলা বোধহয় ঠিক হবে না। যে ওষুধ শরীরে প্রয়োগের পর নির্দিষ্ট কোনও সংক্রমণ হওয়া থেকে শরীরকে আগাম সুরক্ষা দেয়, তাকেই প্রতিষেধক বলা হয়। পোস্ট গ্রাজুয়েট ইন্সটিটিউট অব মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ যেটির কথা বলছে, সেটি আসলে একটি সেপসিসের প্রতিষেধক। এটি করোনা আক্রান্তের শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। ফলে চিকিৎসায় সুবিধা হয়। তাই এই Sepsivac-কে করোনার চিকিৎসায় সহায়ক ওষুধ বলাই ভাল, তবে প্রতিষেধক কোনও মতেই নয়।”
আরও পড়ুন: কোন তাপমাত্রায় সম্পূর্ণ রূপে বিনষ্ট হয় করোনাভাইরাস? জানালেন ভাইরাস বিশেষজ্ঞ
তবে চণ্ডীগড়ের পোস্ট গ্রাজুয়েট ইন্সটিটিউট অব মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ যে Sepsivac-এর কথা বলছে, সেটি করোনার প্রতিষেধক হোক বা ওই ভাইরাসের চিকিৎসায় সহায়ক ওষুধ— এটি পরীক্ষামূলক ভাবে সাফল্য পেলে গতি আসবে করোনা আক্রান্তের চিকিৎসায়। দ্রুত সারিয়ে তোলা যাবে আরও অসংখ্য মানুষকে।