ওয়েব ডেস্ক : বয়স বেড়েছে। আর সেই সঙ্গে বেড়েছে রক্তে শর্করার মাত্রা। হারিয়ে যাওয়া রূপকথার মতই দূরে সরে গিয়েছে আলুর নানা পদও। তবে আর মন খারাপ করবেন না। ব্লাড সুগারেও আলু খেতে পারেন। কারণ বিশেষজ্ঞরা বলছেন আলু সুগার বাড়ায় না বরং নিয়ন্ত্রণ করে। তবে তার জন্য জানতে হবে ম্যাজিক রেসিপি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রক্তে শর্করা বাড়লে, প্লেট থেকে জিলিপি সন্দেশ বা আলু উধাও ...গরম ভাতে আলু সিদ্ধ, ঝাপসা অতীত। তবে  মন খারাপের দিন এবার শেষ।  বিশেষজ্ঞরা বলছেন আলুর জাদুতেই রোখা যাবে ব্লাড সুগার...এতদিন ভাবতেন আলুর জাদু শুধু মুচমুচে পোট্যাটো চিপসেই। মোটেই তা নয়। চমকে দিয়েছে ব্রিটিশ নিউট্রিশন ফাউন্ডেশনের গবেষণা।


আরও পড়ুন- রোজ কেন বেশি করে জল খাবেন? ১০টি কারণ


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আলু রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা  নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। আলু, কাঁচা কলার মতো সবজিতে রয়েছে রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ। রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চই নিয়ন্ত্রণ করে রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা। ক্ষুদ্রান্ত্রে রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ হজম হয় না। বৃহদান্ত্রে গিয়ে ফার্মেন্টেড হয়ে যায় এই স্টার্চ। তৈরি হয় ফ্যাটি অ্যাসিড চেন। ফ্যাটি অ্যাসিড চেন কোলনের কোষগুলিতে এনার্জি সোর্স হিসেবে কাজ করে। খাদ্যনালীতে অস্বাভাবিক কোষ তৈরিতে বাধা দেয়। টাইপ টু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও বড় ভূমিকা রয়েছে  রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চের।
গবেষণা বলেছে হজম হয় এমন কার্বোহাইড্রেট থেকে রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ খেলে সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে।


কোলন ক্যান্সার, হার্টের অসুখ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ। তাহলে কি পোটাটো চিপস বা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, আলুর যে কোনও পদই খাওয়া যাবে?
এখানেই মনের ইচ্ছায় দাড়ি টানতে বলছেন গবেষকরা। বলছেন রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ পেতে  হলে দরকার আলুর ম্যাজিক রেসিপি। গবেষণায় দেখা গেছে সিদ্ধ করা আলু ঠাণ্ডা হলে তাতে রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চের মাত্রা বাড়ে।
বেক করা আলুর পদেও প্রচুর রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ থাকে। তাই আলু ছাড়া আলুনি জীবন এবার শেষ...ডায়বেটিসের ভয় দূর করে দু একটা আলুর পদ খাওয়া যেতেই পারে।