সুদীপ দে: গোটা বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লক্ষ ১৯ হাজার ০৮৪। এই ভাইরাসের প্রকোপে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৮৮ হাজার ৫২৮ জনের। চিন থেকে শুরু করে এই ভাইরাসের প্রকোপে এখন চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে বিশ্বের ১৮৫টি দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভারতেও ক্রমশই ভয়াবহ আকার নিচ্ছে করোনাভাইরাস। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত আর মৃতের সংখ্যা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাঁরা বয়স্ক বা অসুস্থ, তাঁদের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বা মৃত্যুর ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। যাঁদের ডায়াবেটিস বা হার্টের সমস্যা রয়েছে, তাঁদেরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এই পরিস্থিতিতে যাঁদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তাঁদের ঝুঁকি কতটা? আসুন জেনে নেওয়া যাক এ বিষয়ে কী বলছেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডঃ অরিন্দম পাণ্ডে


ডঃ পাণ্ডে জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণে ফুসফুস আক্রান্ত হলে শরীর তার প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পায় না। ফলে ক্রমশ দূষণ বাড়তে থাকে রক্তে। ধীরে ধীরে হৃদযন্ত্রেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। ফলে অনেকটাই বেড়ে যায় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি।



যাঁদের হৃদরোগের সমস্যা রয়েছে, যাঁদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, যাঁদের আগেই বাইপাস সার্জারি হয়েছে বা স্ট্রোক হয়েছে— এমন মানুষ যদি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন, সে ক্ষেত্রে প্রাণহানির আশঙ্কা অনেকটাই বেশি। তাঁদের ক্ষেত্রে অ্যাকিউট কার্ডিয়াক ইনজুরি বা তার থেকে হার্ট ফেলিওর পর্যন্ত হতে পারে।


আরও পড়ুন: COVID-19 থেকে সেরে ওঠা ব্যক্তিদের রক্ত দিয়েই করোনার চিকিৎসায় মিলছে সাফল্য!


ডঃ পাণ্ডে জানান, যাঁদের নিয়মিত ধূমপানের অভ্যাস রয়েছে সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হলে হার্ট অ্যাটাকের মতো কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে। বাড়তে পারে সার্ডেন হার্ট ফেলিওর-এর ঝুঁকি।


সুতরাং, শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হলে হার্ট অ্যাটাক, অ্যাকিউট কার্ডিয়াক ইনজুরি বা হার্ট ফেলিওর পর্যন্ত হতে পারে। তাই সরকারি ও চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে বাড়িতেই থাকুন, সুস্থ থাকুন।