নিজস্ব প্রতিবেদন: সারা বিশ্বে লক্ষ লক্ষ মানুষ এখন করোনার কবলে। এখনও পর্যন্ত লক্ষাধিক মানুষের প্রাণ কেড়েছে এই ভাইরাস। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সারা বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ১ কোটি ৭১ লক্ষ ৮৮ হাজার ছাড়িয়েছে। এই ভাইরাসে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬ লক্ষ ৭০ হাজার ২০৭ জনের। ভারতেও করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ উদ্বেগজনক হচ্ছে। প্রতিদিনই ৪৭-৪৮ হাজার মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন করোনায়। এই পরিস্থিতিতে বড় খবর শোনালেন রুশ বিজ্ঞানীরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাশিয়ার গামালেই ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি (Gamalei Institute of Epidemiology and Microbiology) তৈরি করেছে এই প্রতিষেধক। মঙ্গলবার রুশ সংবাদ মাধ্যম জানায়, আগামী ১০ থেকে ১২ অগাস্টের মধ্যেই বাজারে চলে আসবে বিশ্বের প্রথম করোনার প্রতিষেধক। ইতিমধ্যেই বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে করোনা প্রতিষেধকের হিউম্যান ট্রায়াল পর্ব শেষ করে ফেলেছে রাশিয়া! রবিবার রাশিয়ার সেকেনভ ফার্স্ট মস্কো স্টেট মেডিকেল ইউনিভার্সিটির (Sechenov First Moscow State Medical University) বিজ্ঞানীরা তাঁদের তৈরি করোনা প্রতিষেধকের চূড়ান্ত পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়াল পর্ব শেষ হওয়ার খবর জানান।


এর আগেই প্রতিষেধক প্রস্তুতকারী রাশিয়ার গামালেই ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি (Gamalei Institute of Epidemiology and Microbiology)-এর ডিরেক্টর আলেকজান্ডার গিনস্টবার্গ (Alexander Gintsburg) সে দেশের সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ১২ থেকে ১৪ অগাস্টের মধ্যেই এই প্রতিষেধক বাজারে ছাড়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছে সংস্থা। এ বার এই মন্তব্যকে সরকারি সিদ্ধান্তের শিলমোহর দিলেন রুশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিখাইল মুরশকো (Mikhail Murashko)। মুরশকো জানান, অগাস্টেই মিলবে করোনার টিকা!


আরও পড়ুন: অবশেষে করোনাভাইরাসের আসল উৎসের সন্ধান মিলেছে! দাবি মার্কিন বিজ্ঞানীদের


গত সপ্তাহে রুশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, সামনের মাসেই বাজারে টিকা ছাড়ার আদেশ ইতিমধ্যে জারি হয়ে গিয়েছে। দ্রত গতিতে চলছে টিকা উৎপাদনের কাজ। এ বছরের মধ্যেই সাড়ে ৪ কোটিরও বেশি পরিমাণ প্রতিষেধকের ডোজ তৈরি করতে পারবে রাশিয়া। তবে প্রতিষেধক উৎপাদনের পাশাপাশি চলবে এটির তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালও। মিখাইল মুরশকো জানান, ৩ অগাস্ট থেকে রাশিয়া, সৌদি আরব ও আরব আমিরশাহিতে শুরু হতে চলেছে রুশ বিজ্ঞানীদের তৈরি প্রতিষেধকের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল। অর্থাৎ, প্রতিষেধকের সুরক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি এটিকে দ্রুত বাজারে ছাড়ার ক্ষেত্রেও জোর দিচ্ছে রাশিয়া।