সম্মতি এথিক্স কমিটির, কলকাতায় এবার শুরু হতে চলেছে করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল
করোনা আতঙ্ক থেকে মুক্তি মিলবে কবে! সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়বে না তো ভারতে?
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্য়ে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে. উৎসবের মরশুমে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে হু হু করে। চাপে চড়ে শেষপর্যন্ত টনক নড়ক স্বাস্থ্য দফতরের। খুলে গেল লাল ফিতের ফাঁস। এ রাজ্যে তৃতীয় পর্যায়ে মানবদেহে আমেরিকান ভ্যাকসিন 'কোভা-ভ্যাক' ট্রায়ালের অনুমতি দিল এথিক্স কমিটি। স্বাস্থ্য দফতরের অনুমতির পরই মিলল ছাড়পত্র।
করোনা আতঙ্ক থেকে মুক্তি মিলবে কবে! সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়বে না তো ভারতে? আশঙ্কা কিন্তু বাড়ছে ক্রমশই। এ রাজ্যে পরিস্থিতি সুবিধাজনক নয় একেবারেই। সর্বত্রই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। জানা গিয়েছে, নোভা ভ্যাক নামে আমেরিকার একটি সংস্থা ভারতের সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যৌথভাবে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শুরু করেছে এদেশে। ভ্যাকসিনের পোশাকি নাম কোভাভ্যাক। বস্তুত, তৃতীয় পর্যায়ে মানবদেহে পরীক্ষামূলকভাবে ওই ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ প্রক্রিয়াও চালু হয়ে গিয়েছে। এ রাজ্যেও করোনার সম্ভাব্য ভ্যাকসিনটি ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে ট্রায়াল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতার স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্য দফতরের অনুমতি পাওয়ার পর সেই পরিকল্পনায় ছাড়পত্র দিল এথিক্স কমিটি।
কীভাবে ট্রায়াল চলবে কোভাভ্যাক-এর? যে স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরের ভ্যাকসিন প্রয়ো করা হবে, তাঁদের দুটি দলে ভাগ করা হবে. দুটি পঞ্চাশ জন করে থাকবেন। একটি দলের স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরের প্রয়োগ করা হবে আমেরিকার সংস্থা নোভাভ্যাক-এর তৈরি ভ্যাকসিন, আর অপর দলের সদস্যদের ভারতীর সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউফ অফ পুণের তৈরি ভ্যাকসন। বুধবার কলকাতায় চলেছে এক হাজার ভ্যাকসিন। খোদ পুর ও নগরোয়ন্নন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম নিজেই প্রথম ভ্যাকসিন নেবেন বলে সূত্রের খবর।