নিজস্ব প্রতিবেদন: বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। তাছাড়া, মনে রাখার ক্ষেত্রে আমাদের মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট একটা ধারণক্ষমতা বা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেশ কিছু মানসিক ও স্নায়বিক সমস্যা আমাদের শরীরে বাসা বাঁধে। এই সব মানসিক সমস্যার মধ্যে অ্যালজাইমার্স অন্যতম। সম্প্রতি একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে হলুদের মধ্যে উপস্থির ‘কারকুমিন’ অ্যালজাইমারের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হলুদের অনেক গুণাগুণ। যুগ যুগ ধরে তাই আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাশাস্ত্রে হলুদ ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ইদানীং অনেক রোগে চিকিৎসকরা পথ্য হিসেবে হলুদ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। পারকিনসনস, ডিমেনশিয়া, আলঝেইমার্সের মতো স্নায়ুরোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রেও হলুদ খুবই কার্যকরী বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।


জাপানের ‘ওটসুর শিগা উইনিভার্সিটি অব মেডিক্যাল সায়েন্স’-এর গবেষকদের দাবি, হলুদে থাকা কারকুমিন মস্তিষ্কের অসুখ সারাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। কারকুমিন মস্তিষ্কে প্রবেশ করে অ্যালজাইমার্স রোগীদের বিটা-অ্যামিলয়েড প্লাক ধ্বংস করে এর ক্ষতিকর প্রভাব দ্রুত কমিয়ে দেয়। এই বিটা-অ্যামিলয়েড হল এক ধরণের প্রোটিন ফ্র্যাগমেন্টের সমন্বয় যা মস্তিষ্কে নিউরন ধ্বংস করে অ্যালজাইমারের ক্ষতিকর প্রভাবকে আরও প্রকট করে তোলে। ছোট ছোট অণুর সমন্বয়ে এই প্রোটিন ফ্র্যাগমেন্টকে ধ্বংস করা খুব কঠিন।


আরও পড়ুন: পুরুষের বন্ধ্যাত্ব প্রতিরোধে অবশ্যই মেনে চলুন এই ৫টি জরুরি পরামর্শ


জাপানি গবেষকরা চেষ্টা করছেন অটোমাইজারের মাধ্যমে কারিকুমিন এরোজল তৈরি করার। তাঁরা কারিকুমিনের মতোই এক মলিকিউল (FMeC1) গবেষণার জন্য ব্যবহার করে ছিলেন। তার পর দীর্ঘ গবেষণা চালিয়ে তাঁরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। তাঁরা কারিকুমিন এরোজল তৈরি করতে সক্ষম হলেই শিরার মাধ্যমে অ্যালজাইমারের ওষুধের প্রয়োগের যন্ত্রণাদায়ক চিকিত্সা পদ্ধতি থেকে রোগীকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হবে।