নিজস্ব প্রতিবেদন: আবহাওয়া বদলাচ্ছে। একটু একটু করে জাঁকিয়ে বসছে শীত। আর তার সঙ্গেই ঘরে ঘরে সর্দি-জ্বরের সমস্যা শুরু হয়েছে। আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ‘ভাইরাল ফিভার’-এর পাশাপাশি আতঙ্ক বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি। অধিকাংশ ক্ষেত্রে রক্ত পরীক্ষার আগে পর্যন্ত বোঝাই যাচ্ছে না জ্বরের কারণ। কিন্তু সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনা সাধারণ মানুষের পাশাপাশি চিন্তা বাড়িয়েছে চিকিৎসকদেরও। নতুন আতঙ্কের নাম ‘স্ক্রাব টাইফাস’!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, গত দু’মাসে বহরমপুরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল আর নার্সিংহোমে অন্তত ৫০ জনের শরীরে স্ক্রাব টাইফাসের জীবাণু মিলেছে। ১৫ দিন ধরে ধুম জ্বর, গা-হাত-পায়ে ব্যথা নিয়ে চিকিত্সার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন অনেকে।


‘স্ক্রাব টাইফাস’ এই নামের সৃষ্টি হয়েছে গ্রিক শব্দ typhus থেকে যার অর্থ হল ধোঁয়াটে বা অস্পষ্ট। ট্রম্বিকিউলিড মাইটস বা টিকের (tick) মতো পরজীবী মাকড়ের কামড় থেকে এই এই রোগের জীবানু ছড়ায়। ট্রম্বিকিউলিড মাইটস বা টিকের আকার ০.২ মিলিমিটার থেকে ০.৪ মিলিমিটার পর্যন্ত হয়। ‘স্ক্রাব টাইফাস’ একটি ব্যাকটেরিয়াঘটিত রোগ। প্রধানত ‘ওরিয়েনসিয়া শুশুগামুসি’ নামের ব্যাক্টেরিয়াই এ রোগের জন্য দায়ি।


আরও পড়ুন: শীতে শিশুদের সুরক্ষিত রাখুন নিউমোনিয়ার প্রকোপ থেকে! জেনে নিন খুঁটিনাটি


গ্রাম বাংলার কৃষিজীবী মানুষ এই জাতিয় মাকড়ের সঙ্গে ভালভাবেই পরিচিত। বাড়িতে পোষা কুকুর-বেড়ালের দৌলতে শহুরে বাসিন্দারাও অনেকেই এই মাকড়ের সাক্ষাত্ পেয়েছেন।


স্ক্রাব টাইফাসের লক্ষণ:


ডেঙ্গি আর স্ক্রাব টাইফাসের লক্ষণগুলি অনেকটা একই রকম। শরীরে জীবাণু সংক্রমিত হওয়ার প্রায় ১-২ সপ্তাহ পর শীত শীত ভাব, কাঁপুনি-সহ আকস্মিক জ্বর, মাথা ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। এই উপসর্গগুলি দেখা দেওয়ার ৩ থেকে ৫ দিন পরে শরীরের বিভিন্ন অংশে ফুসকুড়ি দেখা দেয়।


সতর্কতা:


খালি পায়ে হাঁটাচলার অভ্যাস ত্যাগ করুন। ঘর, বিছানা, চাদর-বালিশে রোদ লাগান, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন। তিন দিনের বেশি জ্বর থাকলে আর দেরি না করে চিকিত্সকের পরামর্শ মেনে রক্ত পরীক্ষা করান।