নিজস্ব প্রতিবেদন: শুরু হয়ে গিয়েছে ‘কাউন্টডাউন’! করোনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সময় হয়ে গিয়েছে। কারণ, ভারতে শুরু হয়ে গেল অক্সফোর্ডের করোনা টিকার (ডিএনএ ভেক্টর ভ্যাকসিন) দ্বিতীয় পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়াল। ইতিমধ্যেই বিশ্বের অন্যান্য দেশে অক্সফোর্ডের এই টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ট্রায়াল শেষ হয়েছে। ইতিবাচক ফল মিলেছে ওই ট্রায়ালগুলিতে। কিন্তু নিয়ম মেনে কোনও বিদেশি সংস্থার টিকা ভারতের বাজারে ছাড়ার আগে দেশের জনগণের উপরে সেটি প্রয়োগ করে দেখে নেওয়া প্রয়োজন। সে কারণেই সেরাম ইনস্টিটিউট ভারতে Covishield-এর দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু করতে চলেছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার থেকে পুনের ভারতী বিদ্যাপীঠ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে হিউম্যান ট্রায়ালের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। Covishield-এর এই ট্রায়ালে দেশজুড়ে ১৭টি কেন্দ্রে ১,৬০০ স্বেচ্ছাসেবকের উপরে এটি প্রয়োগ করা হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সুস্থ ও নিরোগ স্বেচ্ছাসেবকদের উপর মোট দু’দফায় এই টিকা প্রয়োগ করা হবে। প্রত্যেক ডোজের পর স্বেচ্ছাসেবকদের ১৪ দিন বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।


আরও পড়ুন: ৭৩ দিন পরই কি মিলছে অক্সফোর্ডের করোনা টিকা! কী বলছে সেরাম ইনস্টিটিউট? জেনে নিন


জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে এই স্বেচ্ছাসেবকদের মোট দু’মাস বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হবে তার পর সেই পরীক্ষার ফলাফল বিশ্বের অন্যান্য দেশে হওয়া পরীক্ষার ফলের সঙ্গে খতিয়ে দেখে তবেই এই টিকা বাজারে ছাড়ার উপযুক্ত কিনা, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। টিকার ইতিবাচক ফলাফলের আশায় বুক বেঁধেছে গোটা দেশ। এই ট্রায়ালের ফলাফল আশাব্যঞ্জক হলে প্রতি মাসে অন্তত ১০ কোটি টিকা উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট। চুক্তি অনুযায়ী, মোট উৎপাদনের ৫০ শতাংশই পাবে ভারত।