নিজস্ব প্রতিবেদন— করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে জেরবার মানব জাতি। রোজ সারা বিশ্বে এই ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। কবে থামবে মৃত্যুর খেলা! কেউ জানে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলে দিয়েছে, করোনার সঙ্গেই বসবাস করতে হবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কোনও আপোস করা যাবে না। লকডাউন সুরাহা নয়। লকডাউনের মাধ্যমে করোনার সংক্রমণ সাময়িকভাবে থামিয়ে রাখা যায়। তাই ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে মানুষ। তবে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রাধান্য দিয়ে। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, যত বেশি বনভূমি ধংস হবে ততই মানুষ আজানা ভাইরাসে আক্রান্ত হবে। কারণ, মানুষ ও বন্যপ্রাণীর মাঝে ঢাল হয়ে আছে বনভূমি। বন্য জীব—জন্তুদের শরীরে অনেকরকম নাম না জানা ভাইরাস রয়েছে। সেগুলি মানুষের সংস্পর্শে এলে মহাবিপদ ঘটে যেতে পারে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্লেগ, স্প্যানিশ ফ্লু, এইডস, সার্স, মার্স, ইবোলা, সোইন ফ্লু। বহু ভাইরাসের হানায় মানুষের জীবন জেরবার হয়েছে। তবে এখনও কয়েক লাখ এমন ভাইরাস রয়েছে যেগুলির নামও বিজ্ঞানীরা জানেন না। ফলে মানব জাতি কার্যত টাইম বোমার উপর বসে রয়েছে। যে কোনও সমব ভাইরাস বিস্ফোরণে সব শেষ হতে পারে! মানুষ ও বিভিন্ন প্রাণীর মধ্যে ১০ লাখ অজানা ভাইরাস সুপ্ত অবস্থায় রয়েছে। যার মধ্যে সাত লাখ ভাইরাস যে কোনও রকম রোগ ছড়াতে পারে। ভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত ছড়াতে শুরু করলে আর রক্ষে থাকবে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাউথ-ইস্ট এশিয়া রিজিয়ন—এর কমিউনিকেবল ডিজিজ—এর প্রাক্তন পরিচালক রাজেশ ভাটিয়া জানিয়েছেন, কমপক্ষে সাত লাখ অজানা ভাইরাস সুপ্ত অবস্থায় রয়েছে। সেগুলি যে কোনও রকম রোগ ছড়াতে পারে। এর মধ্যে মাত্র ২৬০টি ভাইরাস এখনও পর্যন্ত চিহ্নিত হয়েছে।


আরও পড়ুন— করোনা সংক্রমণ রুখতে সক্ষম গাঁজায় থাকা বিশেষ রাসায়নিক! দাবি বিজ্ঞানীদের


মানুষের স্বাস্থ্যের সঙ্গে এখন পশুপাখির স্বাস্থ্য সুরক্ষাও জড়িয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজেশ ভাটিয়া। সার্স-কোভ, মার্স, অ্যাভিয়ান ফ্লু, কেরলের নিপা ভাইরাস, সার্স-কোভ-২, এই সবই প্রাণীবাহিত জীবাণু। সংক্রমণের প্রথম ধাপে সংশ্লিষ্ট ভাইরাসকে চিহ্নিত করে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ঠিক যেমনটা হয়েছে করোনার ক্ষেত্রে। ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি ইউনিভার্সিটির ভাইরোলজি বিভাগের গবেষক মারিয়া সোদারলুন্ড ভেনার্মো জানিয়েছেন, যে কোনও রকম প্রাণীর মাংস খাবার হিসাবে গ্রহণ করলে সমস্যা বাড়বে। তিনি জানিয়েছেন, আরও ১২টি ভাইরাস রয়েছে যেগুলি ভবিষ্যতে মহামারীর কারণ হয়ে উঠতে পারে।