ওয়েব ডেস্ক: শীত পড়লেই গলা ব্যথা? ঢোঁক গিলতে অসুবিধা? নুনজলে গার্গল করে আরাম পাচ্ছেন? সব গলাব্যথা কিন্তু ঠান্ডার জন্য নয়। হতে পারে সাইনোসাইটিস, ল্যারিনজাইটিস, ক্যানসারের মতো কঠিন অসুখ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 


গলায় ব্যথা। ঢোঁক গিলতে অসুবিধে। গলা শুকিয়ে কাঠ। ঠান্ডায় বাড়ছে ব্যথা। সঙ্গে খুক খুকে কাশি। ঘরোয়া ওষুধ মানেই গরম জলে নুন ফেলে গার্গল। মিলছে একটু আরাম। ব্যথা একটু কম। গলা খুসখুস উধাও। কাশি থেকে কিছুটা স্বস্তি। কী ভাবছেন? সেরে গেল গলায় গন্ডগোল? নাহ, সব গলা ব্যথা ঠান্ডার জন্য নয়। এমনটাই বলছেন।



টনসিলের ঘা, ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস বা ভাইরাসের সংক্রমণ, ইনফ্লুয়েঞ্জা, অ্যালার্জি এবং টিউমার থেকেও গলা ব্যথা হতে পারে। মুখ গহ্বর বা অন্ননালিতে থ্রাশ বা ক্যানডিডোসিস বা মনিলিয়াসিস হলে গলা ব্যথা হয়, গলা শুকিয়ে যায়, জিভ, গাল, গলায় ছত্রাকের সাদা সাদা পর্দার মতো আবরণ দেখা যায়। এর ফলে গলায় ঘা হয়। শ্বাস নিতে অসুবিধে হয়।



গ্লান্ডিউলার জ্বর বা ইনফেকশাস মনোনিউক্লিওসিস। উপসর্গের মধ্যে রয়েছে গলাব্যথা, টনসিল ও আশপাশের গ্রন্থিগুলোর স্ফীতি, মাথাব্যথা, অবসাদ, মুখে দুর্গন্ধ, লিভার বেড়ে যাওয়া। চিকিৎসা না করালে জন্ডিস হতে পারে। এই রোগ খুব সংক্রামক। একে কিসিং ডিজিজ বলা হয়। রোগীর লালা সুস্থ মানুষের দেহে প্রবেশ করলেই বিপদ।



গলাব্যথার অন্যতম কারণ হতে পারে সাইনোসাইটিস। চিকিৎসা না করিয়ে ফেলে রাখলে শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দেবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। ঠান্ডা লাগানো চলবে না।



গলা ব্যথা মানে ল্যারিনজাইটিস হতে পারে। এই রোগ ভাইরাসঘটিত। অনেকসময় কাশির সঙ্গে রক্ত আসতে পারে। দম আটকে আসা ভাব তৈরি হয়। একদমই ঠান্ডা লাগানো চলবে না। 



আরও একটি রোগ এপিগ্লোটাইটিস। হিমোফাইলাস ব্যাকটেরিয়া এর জন্য দায়ী। শিশুদের বেশি হয়। শ্বাসনালি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। চিকিত্সা না করালে শ্বাসনালি বন্ধ হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।



দীর্ঘদিন ধরে গলাব্যথা টিউমার বা ক্যানসারের অন্যতম উপসর্গ। শ্বাসনালি, অন্ননালি, স্বরযন্ত্রের টিউমার থেকে গলা ব্যথা হতে পারে। খাবার গিলতে অসুবিধা হয়। কাশি বা বমি, সঙ্গে রক্ত উঠতে পারে। দ্রুত ওজন কমে যেতে পারে।



তাই গলাব্যথায় শুধু গার্গল করে চুপ করে বসে থাকলেই বিপদ। পরামর্শ নিতেই হবে চিকিৎসকের।