তন্ময় প্রামানিক


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


রাতের ঘুম কাড়ছে কবজির যন্ত্রণা। ওষুধ সহ পিন ফুটিয়ে যন্ত্রনা ভ্যানিশ করে দিচ্ছেন এসএসকেএম-এর চিকিৎসকেরা। উদ্ভাবনী এই চিকিত্সা পদ্ধতি জিতে নিল পুরস্কারও। মোবাইল কিংবা কম্পিউটার কি-বোর্ডে অনবরত ঘাঁটাঘাঁটি বিপদ ডেকে আনছে। রান্না করা কিংবা হ্যান্ডেল ধরে কাজ, ভাইব্রেটরে কাজ, একটানা লিখে যাওয়া- এ সবই কবজির যন্ত্রণার উৎস। স্নায়ুর যন্ত্রনা মুক্তিতে কেটে কুটে অস্ত্রোপচার নয়। নতুন পদ্ধতিতে ১০০ বার পিন ফুটিয়ে যন্ত্রনা ভ্যানিশ করার নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করে ফেলল এসএসকেএম।


 



"Carpal tunnel syndrom" বা হাতের কবজির যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পেতে আগে অস্ত্রোপচার করতে হতো। এবার বিনা অস্ত্রোপচার করে হাতের নির্দিষ্ট অংশে ১০০ বার পিন ফুটিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে যন্ত্রনামুক্তি সম্ভব করল এসএসকেএম হাসপাতালের ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগ। বিভাগীয় প্রধান রাজেশ প্রামানিক বলেন, "আমরা অনেক দিন ধরেই চেষ্টা করছিলাম। কবজির অল্ট্রাসোনোগ্রাফি করে আমরা দেখি কোন জায়গায় নার্ভ ক্ষতিগ্রস্থ। সেখানে ১০০ বার পিন ফুটিয়ে ওষুধ দিয়ে অবশ করে তা ঠিক করা হয়। কিছুক্ষনের মধ্যেই রোগীকে ছেড়েও দেওয়া হয়। হাসপাতালে ভর্তি, কাটাছেঁড়া না করেই। দুদিন পরেই স্বাভাবিক হচ্ছে হাত। ১০০ জনের বেশি রোগী আপাতত সুস্থ রয়েছেন। আমরা এ বিষয়ে পুরস্কৃত হয়েছি।"


আরও পড়ুন - বদলে যাচ্ছে আবহাওয়া, হতে পারে চিকেন পক্স! সুস্থ থাকতে সতর্ক থাকুন


কবজির যন্ত্রনায় কাতর হয়ে রাতের ঘুম চলে যায় অনেকের। হাত দুর্বল হয়ে যায়। অস্ত্রোপচার না করেই বাজিমাত চিকিৎসকদের। প্রায় ১০০ জন রোগীকে ওই তীব্র যন্ত্রনা থেকে মুক্তি দেওয়ার নতুন পদ্ধতি সারা দেশের মধ্যে পুরস্কার ছিনিয়ে নিল।
"ফেনাস্ট্রেশন এন্ড ডিকমপ্রেসন" পদ্ধতিতে উধাও হচ্ছে নার্ভের যন্ত্রনা। দিনের দিন রোগীদের এই পদ্ধতিতে চিকিত্সা করে বাড়ি পাঠানো হচ্ছে। দুদিন হাত বিশ্রামে রেখে সকলে স্বাভাবিক কাজে ফিরছেন। এইমস, ভেলোর, পিজিআই চন্ডীগড়ের মতো নামি চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পিছনে ফেলে অভিনব পদ্ধতির পুরস্কার নিয়ে এসেছে এ রাজ্যের সরকারি মেডিক্যাল কলেজের এই বিভাগ।