নিজস্ব প্রতিবেদন: মায়েদের না পাওয়ার আফসোস, দুশ্চিন্তা বা কোনও ধরণের চাপ, শিশুর মনের উপর প্রভাব ফেলে। তাই অকারণে মায়েদের দুশ্চিন্তা করতে না করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদি ভেবে থাকেন আপনি আপনার সন্তানের কাছে মনের দুঃখ চেপে রাখবেন বা দুশ্চিন্তা এড়িয়ে যাবেন, তাহলে মনে রাখবেন, সেই কৌশলে সফল নন আপনি। সন্তান মিথ্যা কথা বললে বা অন্যায় করলে ঠিক যেমন মুখ দেখে বুঝে যান আপনি, সন্তানেরও সেই ক্ষমতা থাকে ( ব্যক্তি বিশেষে)। মায়ের মন ভালো না থাকলে তা সন্তানের উপর দ্বিগুন প্রভাব ফেলে। প্রথমত, তারও মন খারাপ হয়ে যায়, দ্বিতীয়ত, সে স্পষ্টভাবে সবটা না জানার দরুণ মনে মনে দুশ্চিন্তা করতে থাকে। যা থেকে জন্ম নেয় মাকে হারানোর সঙ্গে নানা ধরনের ভয়। যা প্রকাশ করতে পারে না। কিন্তু মাথায় সেই চিন্তা ঘুরতে থাকায় চাপের সৃষ্টি হয় শিশুর মনে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অন্যদিকে, জার্নাল বায়োলজিকাল সাইকিয়াট্রি জার্নালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে দেখা গিয়েছে, একজন গর্ভবতী মায়ের উপর মনের উপর চাপ সৃষ্টি হলে বা সে দুশ্চিন্তায় দিন কাটালে সন্তানের জন্মগত কোনও রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। বেশির ভাগ সময় তা হচ্ছে মানসিক অসুস্থতা। ডাউন সিনড্রোম হতে পারে আপনার সন্তানের। 


গবেষণার জন্য, গবেষকরা মাইটোকন্ড্রিয়ালের জিনোম সিকোয়েন্স করেছেন। মায়েদের কাছ থেকে ৩৬৫ প্লেসেন্টার নমুনার মিউটেশন সনাক্ত করা হয়েছিল। প্লেসেন্টা মাইটোকন্ড্রিয়াল জিনোমে জিনের পরিবর্তনের সংখ্যার সঙ্গে সম্পর্কিত প্রসূতির মানসিক চাপ দেখার জন্য একটি মাল্টিভেরিয়েবল রিগ্রেশন মডেল ব্যবহার করা হয়েছিল। যে মায়েরা মানসিক চাপের মুখোমুখি হন তাদের সন্তানের মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। 


সুতরাং, গর্ভে সন্তান থাকাকালীন দুশ্চিন্তা চাপ থেকে দূরে থাকুন। শুধু তাই নয় সন্তানের বেড়ে ওঠার সময়েও  মন খারাপ, চাপ দুশ্চিন্তা থেকে সরে থাকার চেষ্টা করুন। যদি এড়িয়ে চলা না যায়, তাহলে সন্তানের থেকে না লুকিয়ে তাঁর সঙ্গে শেয়ার করার মতো পরিস্থিতি গড়ে তুলুন। ভুল অন্যায় সম্পর্কে সন্তানের ধারণা হওয়ার সঙ্গে আপনার প্রতি তার কর্তব্য দায়িত্ব জ্ঞান বেড়ে যাবে।