গোটা দেশে ক্রমেই উদ্বেগজনক চেহারা নিচ্ছে সোয়াইন ফ্লু সংক্রমণ। যে হারে ছড়াচ্ছে এই রোগ, তা রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি করেছে। শুধুমাত্র গত চব্বিশ ঘণ্টাতেই দেশে ৮৬৮ জনের সোয়াইন ফ্লু সংক্রমণের ঘটনা সামনে এসেছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জনের। গোটা দেশে এখনও পর্যন্ত এই রোগে ৬২৬ জন প্রাণ খুইয়েছেন। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থা রাজস্থান, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের। সোয়াইন ফ্লু-র থাবা থেকে রেহাই পায়নি রাজধানী দিল্লিও। এখানে সোয়াইন ফ্লু সংক্রমণের ১ হাজার ৬৭৯টি কেস সামনে এসেছে। যার মধ্যে ৭১ জনের রক্তে এই ভাইরাস মিলেছে গত ২৪ ঘণ্টায়। বাদ নেই পশ্চিমবঙ্গও। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে সোয়াইন ফ্লু আক্রান্ত হয়ে ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোয়াইন ফ্লুয়ের হাত থেকে বাঁচতে সতর্কতা সবচেয়ে জরুরি। ফ্লু হলে, তা থেকে যাতে অন্য কেউ আক্রান্ত না হয়, সেবিষয়ে বিশেষ সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিত্‍সকরা। তাঁদের বক্তব্য,


হাঁচি বা কাশির সময় মুখে রুমাল ব্যবহার করতে হবে।
দরজার হাতল, কম্পিউটারের কি বোর্ড, মাউস ইত্যাদি রোজ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিস্কার রাখতে হবে
সব সময় হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে পরিস্কার রাখা জরুরি।
সোয়াইন ফ্লু আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে দূরে থাকতে হবে।
আক্রান্ত হলে স্কুল, কলেজ বা কর্মস্থলে যাওয়া উচিত না।
বাড়িতেই অন্যদের থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে হবে।  


কী করবেন


ঘনঘন কাশি, জ্বর হলেই চিকিত্‍সকের কাছে যান।
হাঁচি বা কাশির সময় মুখে রুমাল দিন।
দরজার হাতল, কম্পিউটারের কী-বোর্ড, মাউস রোজ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার রাখুন।
সব সময় হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার রাখুন।
আক্রান্তের নাক-মুখ ঢেকে রাখার ব্যবস্থা করুন।
আক্রান্তের থেকে বৃদ্ধ, শিশু, অন্তঃসত্ত্বাদের দূরে রাখুন।


কী করবেন না


টানা কাশি, জ্বর থাকলে স্কুল, কলেজ বা কর্মস্থলে যাবেন না।
যেখানে-সেখানে থুতু-কফ ফেলবেন না
সর্দি-কাশি, জ্বর থাকলে ভিড়ের মধ্যে যাবেন না।
আক্রান্তের জামাকাপড় ব্যবহার করবেন না।