নিজস্ব প্রতিবেদন: এখনও হাতে আসেনি কোনও করোনা প্রতিষেধক। করোনা প্রতিষেধক বাজারে আসতে আরও অন্তত মাস তিনেক সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। তার আগে বেশ কিছু ওষুধের সাহায্যে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করা হলেও প্রাথমিক পর্যায়ে ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানো এখনও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত শুক্রবার WHO-এর ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রস আধানম ঘেব্রেইসাস (Tedros Adhanom Ghebreyesus) জানান, শুরু হচ্ছে করোনার নতুন এবং অত্যন্ত ‘বিপজ্জনক’ পর্যায়! এই পর্যায়ে সংক্রমণের গতি বহুগুণ বেড়ে যাবে। ইতিমধ্যেই তার প্রমাণও মিলেছে। একদিনে গোটা বিশ্বে দেড় লক্ষেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন করোনা ভাইরাসে যা উদ্বেগ বাড়িয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-সহ একাধিক দেশের শতাধিক বিজ্ঞানী ও গবেষকদেরও। এই পরিস্থিতিতে কিছুটা স্বস্তি দিল সুইৎজারল্যান্ডের সংস্থা ‘লিভিংগার্ড টেকনোলজি’র তৈরি একটি বিশেষ করোনা-রোধী মাস্ক। সংস্থার দাবি, এই মাস্ক করোনার বিরুদ্ধে ৯৯.৯% সুরক্ষা দিতে সক্ষম!



সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সঞ্জীব স্বামী জানান, মাস্কের সংস্পর্শে এলেই ভাইরাস কণাকে সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম এই বিশেষ মাস্ক। হাঁচি-কাশি থেকে নির্গত ড্রপলেট থেকে করোনার সংক্রমণ ছড়ানো রুখতে এটি অত্যন্ত কার্যকর। এই মাস্ক উদ্ভাবনের নেপথ্যে রয়েছেন জার্মানির বার্লিনের ফ্রি ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক।


সংস্থার দাবি, এই মাস্ক পরিবেশবান্ধব। সংস্থা তরফে জানা গিয়েছে, মাস্ক তৈরিতে যে বিশেষ ধরনের কাপড় ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত সূক্ষ্ম ফাইবারের এবং ‘ন্যানোটেকনোলজি’ প্রয়োগ করে কিছু আয়ন দেওয়া আছে যা এই আয়ন বায়ুমণ্ডলের যে কোনও জীবাণুকে মেরে ফেলতে সক্ষম।


আরও পড়ুন: শ্বাসকষ্ট থেকে হাঁটু বা কোমরের প্রচণ্ড ব্যথা, যোগাসনেই লুকিয়ে একাধিক সমস্যার সমাধান!


সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সঞ্জীব স্বামী জানান, ১০০টিরও বেশি পেটেন্ট আর প্রায় ৬৫ হাজার পরীক্ষার পর এই মাস্ক বাজারে আনার অনুমতি পেয়েছে ‘লিভিংগার্ড টেকনোলজি’। বুধবার ভারত-সহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে লঞ্চ করেছে এই মাস্ক। মাস্কের দাম এখনও জানা না গেলেও তা একেবারেই মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যেই রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকে।