ওয়েব ডেস্ক: জ্বরে কাবু দক্ষিণবঙ্গ। প্রায় সব বাড়িতেই সর্দিকাশী। কারও কারও ধুম জ্বর। তার কোনটা ডেঙ্গি। কোনটা নয়। রোগ নির্ণয়ে হিমসিম খাচ্ছেন চিকিত্‍সকরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। মানব সভ্যতার বহু শত্রুর জন্ম এই কুরুক্ষেত্রে। ডেঙ্গিও তারই ফসল। সতেরোশো উনআশিতে প্রাদুর্ভাব হলেও, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকেই বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ডেঙ্গি। এরাজ্যেও নিয়ম করে হানা দেয় এই ভাইরাস ঘটিত জ্বর।


এডিস ইজিপ্টাই মশার মাধ্যমে ছড়ায় ডেঙ্গির ভাইরাস।


সাধারণ লক্ষণ: জ্বর, গায়ে ব্যথা, মাথা যন্ত্রনা, বমি এবং ত্বকের নীচে চাকা চাকা দাগ।


বিরলতম ক্ষেত্রে ডেঙ্গিতে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ, অনুচক্রিকার সংখ্যা কমে যায়।


বিরলের থেকে বিরলতম ক্ষেত্রে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।


এবারের বর্ষাতেও ভাইরাস জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে। কিন্তু, কোনটা সাধারণ জ্বর আর কোনটা ডেঙ্গি তা বুঝতে রীতিমতো ধোঁকা খেয়ে যাচ্ছেন চিকিত্‍সকরা। বহু ক্ষেত্রে উপসর্গ মিললেও রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গি ধরা পড়ছে না। বেশ কিছু ক্ষেত্রে উপসর্গ না মিললেও রক্তপরীক্ষায় দেখা যাচ্ছে অনুচক্রিকা কমে গেছে।


বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা WHO-র তৈরি করা তালিকায় ডেঙ্গির সাধারণত ৫ রকম ভাইরাস হয়। একটি ভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হলে তাঁর শরীরে তার প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়। কিন্তু, তার মানে এই নয়, ডেঙ্গির অন্য ভাইরাসে ওই ব্যক্তি আক্রান্ত হবেন না। পরজীবী বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কোনও ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কয়েকদিন পরে সেই জনগোষ্ঠীতে তার প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে। পরের মরশুমে নতুন রূপে নতুন উপসর্গ নিয়ে ফেরে সেই ভাইরাস। এবারও তার চরিত্রবদল হয়েছে।


ভাইরাসঘটিত জ্বরের সরাসরি চিকিত্‍সা সম্ভব নয়। উপসর্গ ভিত্তিক চিকিত্‍সা করতে হয়। চিকিত্‍সকরা বলছেন, ভাইরাসের চরিত্র যাই হোক, নির্দিষ্ট কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলছেই সুস্থ হওয়া সম্ভব। ডেঙ্গি বিরলতম ক্ষেত্রেই শুধু প্রাণঘাতী।