নিজস্ব প্রতিবেদন: অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি প্রতিষেধকটির উৎপাদনের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’ (AstraZeneca)। অক্সফোর্ডের টিকা উৎপাদনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট (Serum Institute of India)। সেপ্টেম্বরে মধ্যেই ২০০ কোটি ডোজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে একজোটে এগোচ্ছে এই দুই সংস্থা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

AstraZeneca বা Serum Institute ছাড়াও মার্কিন সংস্থা মোদার্না (Moderna RNA vaccine), Johnson & Johnson, চিনা সংস্থা CanSino Biologics, এমন কী বিশ্বের অন্যতম সিগারেট প্রস্তুতকারী সংস্থা ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো করোনার প্রতিষেধক তৈরি করতে ব্যস্ত। এরই মধ্যে বাঁদরের উপর ক্লিনিক্যাল ট্র্যায়ালে আশানুরূপ ফল মিলেছে বলে দাবি করলেন থাইল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা।


জানা গিয়েছে, প্রথমে ইদুঁরদের ওপর এই প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়। ওই পরীক্ষায় সফল্যের পরই মে মাসের শেষের দিকে বাঁদরের উপর ওই প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের কাজ শুরু করা হয়। এ বার বাঁদরের উপর ক্লিনিক্যাল ট্র্যায়ালেও সাফল্য পেলেন থাইল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা।


আরও পড়ুন: মরনাপন্ন করোনা রোগীদের বাঁচাতে জরুরি ভিত্তিতে বাড়াতে হবে ডেক্সামেথাসোনের উৎপাদন: WHO


থাইল্যান্ডের উচ্চশিক্ষা ও বিজ্ঞান মন্ত্রী সুভিট মেয়সিনসি জানান, বাঁদরের উপর এই প্রতিষেধক প্রয়োগের ফলাফল বেশ ভাল। সবকটি বাঁদরের শরীরেই করোনার বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠেছে। তিনি জানান, আরও একবার এই টিকার দ্বিতীয় জোড প্রয়োগ করা হবে ওই বাঁদরগুলির উপর। ওই ট্র্যায়ালেও সাফল্য পেলে আগামী অক্টোবরের মধ্যে মানুষের শরীরে এই প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হবে। থাইল্যান্ডের দুটি সংস্থা করোনা প্রতিষেধক তৈরি নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে। আশা করা হচ্ছে আগামী বছরের মধ্যেই থাইল্যান্ডও করোনা প্রতিষেধক তৈরির কাজে সাফল্য পাবে।