নিজস্ব প্রতিবেদন: জেলায় জেলায় ভ্যাকসিন বন্টনের কাজ প্রায় শেষ। বুধবার দুপুর ১২.৩০ এর মধ্যে ট্রাকে করে রওনা দিয়েছে সমস্ত ভ্যাকসিন। জানা গিয়েছে, কলকাতার জন্য ৯৩ হাজার ভ্যাকসিন রেখে বাকি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে জেলার প্রথম সারির উদ্দেশে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গতকাল মধ্যরাত থেকেও একের পর এক ট্রাক ভ্যাকসিন নিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, বুধবার মধ্য রাতের মধ্যেই বণ্টনের কাজ শেষ হবে। ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ। তার আগে একদিন হাতে রেখে যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে রাজ্য। 


বুধবার সকালে বাগবাজারের সেন্ট্রাল ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার থেকে উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে রওনা দেয় ভ্যাকসিন। এছাড়া, ঝাড়গ্রাম, বসিরহাট, পশ্চিম মেদিনীপুর, ডায়মন্ডহারবার, পুরুলিয়া, বীরভূম, এই সমস্ত জায়গায় আজ সকাল থেকে ভ্যাকসিন পাঠানো হয়েছে। 


সব মিলিয়ে মোট ২৮ টি জেলার কেন্দ্রে ভ্যাকসিন বন্টন করা হবে। মোট ভ্যাকসিন পাঠানো হয়েছে ৬৪৪৫০০ টি। 


কোচ বিহার - ১৮৫০০
জলপাইগুড়ি- ১৬৫০০
আলিপুরদুয়ার- ১২৫০০
দার্জিলিং- ১৮০০০
কালিংপং-৩৫০০
উত্তর দিনাজপুর- ১৭০০০
দক্ষিণ দিনাজপুর- ২০৫০০
মালদা- ২২০০০
মুর্শিদাবাদ- ৩৭৫০০
নদিয়া - ২২০০০
বাঁকুড়া- ১৮৫০০
বিষ্ণুপুর- ৬৫০০
পুরুলিয়া- ১৮০০০
পূর্ব মেগিনীপুর- ৩১৫০০
বীরভূম- ১১৫০০
রামপুরহাট- ১০৫০০
পশ্চিম মেদিনীপুর- ১৯০০০
উত্তর ২৪ পরগণা- ৪৭০০০
হুগলি- ৩২০০০
পশ্চিম মেদিনীপুর- ২৬০০০
ঝাড়গ্রাম- ৯৫০০
বসিরহাট- ১৩৫০০
দক্ষিণ ২৪ পরগণা- ২৬০০০
নন্দীগ্রাম- ১১০০০
পূর্ব মেদিনীপুর- ২১০০০
হাওড়া- ২৮৫০০
কলকাতা- ৯৩৫০০


প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিমান বন্দর থেকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পণ্যবাহী ট্রাকে করে বাগাবাজারে কেন্দ্রীয় মেডিক্যাল স্টোরে পৌঁছয় কোভিশিল্ড। পুণের সেরাম ইন্সটিটিউট থেকে বিশেষ বিমানে কলকাতায় এসেছে প্রায় সাত লক্ষ ভ্যাকসিন। ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে টিকাকরণ। কাকভোরেই পুণে থেকে রওনা দিয়েছিল ভ্যাকসিন বোঝাই কার্গো বিমান।


এবার রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে টিকা পৌঁছনোর পালা। ইতিমধ্যেই সব জেলায় তিনটি করে হাসপাতালে টিকাকরণের মহড়া হয়েছে।উল্লেখ্য, প্রতি ডোজ কোভিশিল্ডের (Covishield) দাম ধার্য হয়েছে ২০০ টাকা। প্রাথমিকভাবে সরকারকে ১.১ কোটি ডোজ দেবে সেরাম। আপাতত ২০০ টাকা করে পড়ছে প্রথম ১০ কোটি ডোজের দাম।


উল্লখ্য, গতকাল কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধার টিকাকরণের খরচ জোগাবে কেন্দ্রীয় সংখ্যা। প্রথম ধাপে ৩ কোটি কোভিড যোদ্ধাকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে সোমবার জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু বাকিদের কী হবে? বৈঠকে জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। সেই সিদ্ধান্ত পরে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।