নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সারা বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ১ কোটি ৮৪ লক্ষ ছাড়িয়েছে। এই ভাইরাসে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬ লক্ষ ৯৭ হাজার ২৪৪ জনের। ইতিমধ্যেই করোনা রোগীদের চিকিৎসায় রেমডেসিভির, Favipiravir-এর মতো বেশ কয়েকটি ওষুধের প্রয়োগ শুরু হয়েছে। চলতি বছরের মধ্যেই কয়েকটি করোনা প্রতিষেধক হয়তো বাজারে চলেও আসবে। তবে প্রতিষেধক এলেই কি মিটবে করোনা সমস্যা? এই প্রশ্নের উত্তরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) যা জানাল তাতে উদ্বেগ আরও বাড়ল!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে WHO-এর ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রস আধানম ঘেব্রেইসাস (Tedros Adhanom Ghebreyesus) জানান, বেশ কয়েকটি করোনা প্রতিষেধক এখন ক্লিনিকাল ট্রায়ালের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আশা করা যায়, বেশ কয়েকটি কার্যকর প্রতিষেধক হয়তো পাওয়াও যাবে যেগুলি এই ভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে পারবে। তবে, এই মুহূর্তে করোনার কোনও ‘জাদুকরী সমাধান’ নেই। কোনও প্রতিষেধক দিয়েই করোনাকে সম্পূর্ণ নির্মূল করা সম্ভব নয়।


আরও পড়ুন: শরীরে করোনার সংক্রমণ রুখতে সক্ষম যক্ষার টিকা, কমাতে পারে মৃত্যুর হারও! দাবি বিজ্ঞানীদের


তিনি জানান, পরবর্তি কয়েক দশক ধরে ভয়াবহ প্রভাব অনুভূত হবে। ১৮ জন সদস্য ও ১২ জন পরামর্শদাতাকে নিয়ে সম্প্রতি নিজেদের চতুর্থ বৈঠকে বসেছিল সংস্থার এমার্জেন্সি কমিটি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO-এর ডিরেক্টর জেনারেল জানান, মাস ছয়েক আগে যখন ‘পাবলিক হেলথ এমার্জেন্সি’ ঘোষণা করতে বলা হয়েছিল, তখন করোনায় আক্রান্ত ছিলেন ১০০ জনেরও কম, চিনের বাইরে কারও মৃত্যু হয়নি তখনও। এই রকম অতিমারী শতাব্দীতে একবারই হয়। এর প্রভাব থাকবে অন্তত কয়েক দশক পর্যন্ত। অর্থাৎ, করোনার ওষুধ, প্রতিষেধক আসার পরেও যে এই ভাইরাসের প্রকোপ থেকে সহজে রেহাই মিলবে না! WHO-এর ডিরেক্টর জেনারেলের কথায় অন্তত তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে।