নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের দৌড় কত, গত মে মাস থেকেই তা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছিলেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। তবে ব্রিটিশ পত্রিকা ‘ল্যানসেট’ (The Lancet)-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের প্রয়োগে করোনা রোগীদের মৃত্যুর ঝুঁকি আরও বেড়ে যেতে পারে। ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, একশোটিরও বেশি আসপাতালের ৯৬ হাজারের বেশি করোনা আক্রান্তকে লক্ষ্য করে দেখার পর এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন গবেষকরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

‘ল্যানসেট’ (The Lancet)-এ ওই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরই করোনার চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের প্রয়োগে সাময়িক স্থগিতাদেশ দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)! পরে অবশ্য ওই স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া হয়। করোনার চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের কার্যকারিতা জানতে এ বার ব্রিটিশ ওষুধ ও স্বাস্থ্যসেবা পণ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা (MHRA) অনুমোদনের পর পুনরায় শুরু হচ্ছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা।


জানা গিয়েছে, ব্রিটেনে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের প্রয়োগে তেমন কোনও ফল মেনেনি বলে দাবি করা হয় সাম্প্রতিক একটি গবেষণায়। তার পরই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের কার্যকারিতা জানতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে MHRA। এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। এ কাজে তাঁদের সহযোগিতা করবেন থাইল্যান্ডে অক্সফোর্ডের সহযোগী গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘মাহিদল অক্সফোর্ড ট্রোপিক্যাল মেডিসিন রিসার্চ ইউনিট’ (MORU)-এর গবেষকরা।


আরও পড়ুন: ভারতে তৈরি প্রথম করোনা টিকার হিউম্যান ট্রায়ালে মিলল ছাড়পত্র! ট্রায়াল শুরু জুলাই থেকেই


জানা গিয়েছে, এ বারের পরীক্ষায় প্রায় ৪০ হাজার স্বাস্থ্যসেবা কর্মী ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকের উপর হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের প্রয়োগ করা হবে। থাইল্যান্ডের পাশাপাশি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, আফ্রিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশে প্রয়োগ করা হবে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন। মনে করা হচ্ছে, এ বছরের শেষেই এই পরীক্ষার ফল জানতে পারা যাবে। এই পরীক্ষামূলক প্রয়োগের প্রধাণ উদ্দেশ্য হল, এই ওষুধ নির্দিষ্টি পরিমাণে প্রয়োগের পর ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সেটি কতটা সক্ষম, তা দেখে নেওয়া। এই পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করেই এই ওষুধ প্রয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন নিয়ে এই পরীক্ষার অপর উদ্দেশ্য হল, করোনার চিকিৎসায় সস্তার সহজলভ্য বিকল্প ওষুধ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া।