ওয়েব ডেস্ক : সারাদিনের সঙ্গী মোবাইল? রাতের অন্ধকারেও মোবাইলে খুটখাট? ফোন আঁকড়েই রাত জাগা? জানেন কি, আলো-আঁধারিতে বারোটা বাজছে চোখের? অতিরিক্ত মাত্রায় স্মার্টফোনের নীল আলোয় অন্ধ হয়ে যেতে পারেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মোবাইলে চোখ, কী বোর্ডে আঙুল। দুনিয়া এখন চলছে এই নিয়মেই। দিনভর। এমনকী রাতভর। ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম ছাড়াও রকমারি অ্যাপ, ঝকমারি যন্ত্রণা। দিন পেরিয়ে রাত নামলেও মোবাইলের বিরাম নেই। হাত-মাথা সদাব্যস্ত। রাতে বিছানায় আলো নিভিয়েও হাতে স্মার্টফোন। সোশ্যাল মিডিয়ায় উঁকিঝুঁকি। ঘুমের তো দফারফাই। কিন্তু বিপদ আরও মারাত্মক। অন্ধকারে স্মার্টফোনের আলো অন্ধত্ব পর্যন্ত ডেকে আনতে পারে। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।


আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটির সাম্প্রতিক রিপোর্টে দাবি, স্মার্টফোনের নীল আলোর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব মারাত্মক। মেলাটোনিন হরমোন উত্পাদনে বাধা দেয় এই আলো। এই হরমোনের প্রভাবে ঘুম নামে চোখে। ফলে ঘুমের দফারফা। মস্তিষ্ক তখন ভাবতে শুরু করে, সকাল হয়ে গেছে। রাতের অন্ধকারে দীর্ঘসময় স্মার্টফোনের ব্যবহারের ফলে রেটিনার ওপর প্রভাব পড়তে শুরু করে। রেটিনা পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেলে পরিনাম অন্ধত্ব।


বিশেষজ্ঞদের দাবি, মোবাইল ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকার সময় চোখের পলক কম পড়ে। স্বাভাবিকের তুলনায় স্মার্টফোন চোখের খুব কাছে এনে ব্যবহার করা হয়। এর থেকে নির্গত আলো শুধু ক্ষতিকরই নয়, বিষাক্তও। অন্ধকারে স্মার্টফোনের নীল আলো বেশিমাত্রায় চোখে ঢুকলে ঘাড়ে ব্যথা, মাথাব্যথা বা মাইগ্রেনের মতো সমস্যা বাড়ে। এ ছাড়া মুঠোফোনে দীর্ঘসময় মেসেজ টাইপ করতে থাকলে আঙুলের জয়েন্টগুলোতে ব্যথা হতে পারে। আর্থ্রারাইটিসের মতো রোগ হতে পারে।   


চিকিত্সকদের পরামর্শ, রাতের অন্ধকারে স্মার্টফোন ব্যবহার ছাড়তেই হবে। খুব প্রয়োজনে আলো জ্বেলে মোবাইল, ল্যাপটপ, কম্পিউটার ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।


আরও পড়ুন, কেন পকেটে ফাটল Xiaomi ফোন? কী বলল কোম্পানি? জেনে নিয়ে সাবধান হোন আপনিও