নিজস্ব প্রতিবেদন: ব্রণ বা ফুসকুড়ি নিয়ে চিন্তিত? ঠিকঠাক চিকিৎসায় ব্রণ বা ফুসকুড়ির হাত থেকে মুক্তি মেলে ঠিকই, কিন্তু তার জন্য যে সব ওষুধ বা ক্রিম বাজারে উপলব্ধ সেগুলি যেমন ব্যয়বহুল, তেমনই তা থেকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয়ও থেকে যায়। ব্রণ হবার একটি অন্যতম কারণ হল অপরিষ্কার ত্বক। তাই ত্বক পরিষ্কার রাখতে হবে। নিয়মিত স্ক্রাবিং ত্বককে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। ব্রণ শুধু মুখে নয়, শরীরের অন্যান্য অংশেও হতে পারে। তাই স্ক্রাবিং পুরো দেহের জন্যই প্রযোজ্য। কিন্তু প্রাকৃতিক উপায়েও এই ধরনের সমস্যা দূর করা যায়। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই সমস্ত কার্যকরী ঘরোয়া উপায় কী কী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

• পাকা পেঁপে চটকে নিন (এক কাপের মতো)। এর সঙ্গে মেশান এক চামচ পাতিলেবুর রস এবং প্রয়োজন মতো চালের গুঁড়ো। মিশ্রণটি মুখ-সহ গোটা শরীরে লাগান। ২০-২৫ মিনিট মাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। পেঁপে ছাড়াও ব্যবহার করতে পারেন ঘৃতকুমারীর রস।


• পুদিনা পাতার রস করে নিয়ে সেটা দিয়ে আইস কিউব তৈরি করুন। ফুসকুড়ি ও ব্রণের এই আইস কিউব ঘষুন ১০-১৫ মিনিট। এতে ফুসকুড়ি ও ব্রণের সংক্রমণ তো কমবেই সঙ্গে ত্বকের জ্বালাপোড়া ভাবও দূর হবে।


আরও পড়ুন: জেনে নিন নখ দেখে রোগ চেনায় উপায়


• পুদিনা পাতা ত্বকের অতিরিক্ত তেল এবং ব্রণের সংক্রমণ কমাতে খুবই উপকারী। টাটকা পুদিনা পাতা বেটে ত্বকে লাগান। ১০-১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর হয়ে যাবে। অতিরিক্ত গরমের কারণে ত্বকে যেসব ফুসকুড়ি এবং ব্রণ হয় সেগুলি দূর করতেও পুদিনা পাতা খুবই উপকারী। টাটকা পুদিনা পাতা বেটে ব্রণের ওপর ২০ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। উপকার পাবেন।


• লবঙ্গ মূলত মসলা হিসেবে পরিচিত হলেও ব্রণ সারাতে এটি খুবই কার্যকর। লবঙ্গের তেল দিয়ে ত্বক মাসাজ করা খুবই উপকারী। ত্বকে ব্রণের সংক্রমণ বেড়ে গেলে লবঙ্গ গুঁড়ো করে তাতে গোলাপ জল মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। ব্রণের জায়গাগুলোতে মিশ্রণের মোটা প্রলেপ দিন। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।


• টক স্বাদের কদবেল খেতে অনেকেই ভালবাসেন। কাঁচা কদবেলের রস ব্রণের জন্য খুবই উপকারী। কাঁচা কদবেলের রস তুলাতে ভিজিয়ে ব্রণ আক্রান্ত জায়গাগুলোতে লাগান। ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।


• যাঁদের ব্রণর পরিমাণ অত্যধিক বেশি তাঁরা পাতিলেবুর রস দিনে দু’তিনবার ব্রণর জায়গাগুলোতে লাগান। তবে একটানা ১০ মিনিটের বেশি রাখবেন না। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।


• নিমপাতা খুব ভাল জীবাণুনাশক। তাই ব্রণ সারাতে নিমপাতা খুবই উপকারী। নিমপাতা বেটে সঙ্গে চন্দনের গুঁড়া মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। এই মিশ্রণ ত্বকে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।


আরও পড়ুন: ব্রণ, ফুসকুড়ির কালো দাগ থেকে ৭ দিনে মুক্তি পান এই ঘরোয়া উপায়ে


• ধনেপাতাও ব্রণ সারাতে খুবই কার্যকর। ধনেপাতা বেটে তাতে কয়েক চিমটি হলুদ গুঁড়া মেশান। মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে ২০-২৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। উপকার পাবেন।


• গোলাপ জলের নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণের দাগ কমে যায়। দারুচিনি গুঁড়োর সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। এই মিশ্রণ ব্রণের ওপর লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে ব্রণের সংক্রমণ, চুলকানি এবং ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে।


• ১ লিটার জলতে ২৫০ গ্রাম টাটকা নিমপাতা জ্বাল দিন। জলর পরিমাণ অর্ধেক না হওয়া পর্যন্ত জ্বাল দিতে থাকুন। এই জল ছেঁকে ঠান্ডা করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এই জল পান করলে ব্রণ হবার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যাবে।