রাতে ঘুমানোর সময় অস্বাভাবিক ঘাম হয়? জেনে এটা কোন রোগের উপসর্গ
রাতে ঘুমানোর সময় এই অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়ার সমস্যা মারাত্মক কিছু রোগের লক্ষণ হতে পারে। আসুন সে সম্পর্কে কিছু জরুরি তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভ্যাপসা গরমে বা অতিরিক্ত পরিশ্রম করলে ঘাম হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক ব্যপার। কিন্তু যখন তখন বিনা পরিশ্রমে বা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ঘাম হওয়াটা মোটেই স্বাভাবিক ব্যপার নয়। বরং, চিন্তার বিষয়। অনেকেই রাতে ঘুমানোর সময় প্রচুর ঘাম হওয়ার সমস্যায় ভোগেন। খুব বেশি গরম আর আদ্রতাযুক্ত আবহাওয়া বা ঘরের পরিবেশে খুব গুমোট ভাব না থাকা সত্ত্বেও অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়া, বিশেষ করে রাতের বেলা ঘেমে যাওয়ার সমস্যা একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। কারণ, রাতে ঘুমানোর সময় এই অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়ার সমস্যা মারাত্মক কিছু রোগের লক্ষণ হতে পারে। আসুন সে সম্পর্কে কিছু জরুরি তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
১) স্নায়বিক (নিউরোলজিক্যাল) সমস্যা: অটোনোমিক ডাইরেফ্লেক্সিয়া, সাইরিনগোমাইলিয়া, অটোনোমিক নিউরোপ্যাথি ইত্যাদি ধরণের স্নায়বিক (নিউরোলজিক্যাল) কিছু অস্বাভাবিকতার কারণে ঘাম বেড়ে যায়। যার ফলে রাতে ঘেমে যাওয়ার সমস্যায় ভুগতে হতে পারে অনেককেই।
২) হরমোন ডিজঅর্ডার: যারা হরমোনের তারতম্যগত সমস্যায় ভুগছেন, তাদের বেশীর ভাগ সময়ে রাতে ঘেমে যাওয়ার সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়। রাতে ঘেমে যাওয়া কাসদিণোয়েড সিনড্রোম বা হাইপারথায়রয়েডিজম সমস্যার কারণেও হতে পারে।
৩) হাইপোগ্লিসেমিয়া: নিম্ন রক্তচাপের ফলে অনেকের এই সমস্যা দেখা দেয়। যারা ডায়াবেটিসের কারণে ইনসুলিন বা এ জাতীয় অন্যান্য ওষুধপত্র খান, তাদের রাতে হাইপোগ্লিসেমিয়ায় ভুগতে দেখা যায়। যার ফলে অতিরিক্ত ঘাম হতে থাকে।
৪) ক্যান্সার: কিছু ধরণের ক্যান্সারের কারণে রাতে ঘেমে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। যেমন, লিম্ফোমা। অবশ্য ক্যান্সার হলে অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়ার পাশাপাশি জ্বর এবং হঠাত করেই অতিরিক্ত ওজন কমে যাওয়ার সমস্যায়ও দেখা যায়।
৫) আইডোপ্যাথিক হাইপারহাইড্রোসিস: এই সমস্যায় রাতে ঘুমানোর সময় অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা শুরু হয়ে যায়। তবে এই সমস্যার মূল কোনও কারণ এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।
৬) মনোপজ (ঋুতস্রাব): রাতের বেলার অতিরিক্ত ঘাম এবং হঠাত করেই গরম লাগতে থাকার সমস্যা মহিলাদের মনোপজ (ঋুতস্রাব) শুরুর আগের দিনগুলির অন্যতম প্রধান লক্ষণ।