নিজস্ব প্রতিবেদন-  Pfizer নামক সংস্থাটি কিছুদিন আগেই দাবি করেছিল, করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কারে তারা ৯০ শতাংশ সফল। এবার তৃতীয় দফার ট্রায়াল শেষ হলেই বাজারে চলে আসবে সেটি। সেই ভ্যাকসিন আবিষ্কারে সহায়তা করা স্বেচ্ছাসেবকরা এবার জানালেন, টীকা নেওয়ার পর শরীরে ঠিক কী হয়! একাধিক স্বেচ্ছাসেবক জানিয়েছেন, টীকা নেওয়ার পর তাঁদের হ্যাংওভার ছিল। এছাড়া মাথা ব্যাথা ও জ্বরও এসেছিল। বেশ কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক জানিয়েছেন, তাঁরা শরীরের একাধিক অংশের পেশিতে ব্যথা অনুভব করেছেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ছটি দেশের ৪৩,৫০০ জন স্বেচ্ছাসেবক এই সংস্থার করোনা ভ্যাকসিন-এর ট্রায়ালে অংশ নিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৪৪ বছর বয়সী একজন স্বেচ্ছাসেবক গ্লেন ডেশিল্ডস জানিয়েথছেন, ভ্যাকসিন নেওয়ার পরই হ্যাংওভার ছিল তাঁর। এমনকী ফ্লু হওয়ার পর ঠিক যা যা হয় সেগুলি হচ্ছিল। মাথা ব্যথা, জ্বর ছিল। প্রথম দফায় এগুলো তেমন গুরুতর আকার নেয়নি। তবে দ্বিতীয়বার ট্রায়ালে জ্বর, মাথা ব্যথা ও মাংসপেশিতে ব্যথা ছিল অনেকটাই বেশি। স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে অনেকেই একের পর এক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনুভব করেছিলেন বলে জানিয়েছেন।


আরও পড়ুন-  ভারতের মাছে না চিনের! করোনা, সীমান্ত সন্ত্রাসের ঘোলা জলে মাছ ধরা?


ভ্যাকসিন ট্রায়াল হয়েছিল ডাবল ব্লাইন্ড। অর্থাত্, স্বেচ্ছাসেবকদের বলা হয়নি তাঁদের টীকা দেওয়া হয়েছে কি না! আসলে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল ট্রায়ালে অংশ নেওয়া অর্ধেক স্বেচ্ছাসেবককে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা বোঝার চেষ্টা করেন, ভ্যাকসিন নেওয়ার ফলে কী কী সমস্যা হচ্ছে! এই ভ্যাকসিনের তৃতীয় ট্রায়াল সফল হলেও এটি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া একটা বড় চ্যালেঞ্জ হবে সংস্থাটির কাছে। কারণ এই ভ্যাকসিন -70 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখতে হবে। ফলে রেফ্রিজেরেটেড কন্টেনার-এর দরকার পড়বে। সেটাই এখন বড় সমস্যা।