নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রথমবার কোভিশিল্ড, পরের বার কোভ্যাকসিন! ভ্যাকসিনের ককটেইলে কী সমস্যা হতে পারে রোগীর? তারই সম্ভাব্য উত্তর খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। ভারতে বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে ভ্যাকসিনের দুটো সমান ডোজ পাননি কিছু মানুষ। ভুলবশত বদলে গিয়েছে দ্বিতীয় ডোজ। যে ঘটনায় স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে তুলোধনা করা হয়েছে। কিন্তু, এই ভুলে রোগীর স্বাস্থ্যের কী হাল হয়েছে? তার জন্যই পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল তাঁদেরকে। জানা গিয়েছে, সেরকম কোনও শারীরিক অসুস্থতা ধরা পড়েনি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভ্যাকসিনের ডোজ অদল বদলের যে পরীক্ষা চলছে তাতে প্রাথমিক পর্যায়ে জানা গিয়েছে, ক্লান্তি এবং মাথাব্যথা দেখা দেবে। তবে তা সাময়িক।  AstraZeneca-র প্রথম ডোজ পাওয়া বেশ কিছু মানুষ চার সপ্তাহ পরে  Pfizer-র ভ্যাকসিন নেয়। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দ্য ল্যানসেট মেডিকেল জার্নালে জানিয়েছেন, পৃথক ভ্যাকসিন পাওয়ার কারণে তাঁদের স্বল্প -কালীন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। 


অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া দেশের জন্যই এই পরীক্ষা বলে জানিয়েছেন, গবেষকরা এবং জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। কীভাবে ভ্যাকসিনের ঘাটতি মোকাবিলা করা যায়, সেই চেষ্টা করার জন্য দুটি ভিন্ন ডোজ ব্যবহার করে পরীক্ষা চলছে।  এখনও পর্যন্ত সেরকম কোনও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়া বা প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। 


প্রসঙ্গত, ফ্রান্সে যখন AstraZeneca ভ্যাকসিন নিষিদ্ধ করা হয়। বয়স্করা যাঁরা AstraZeneca-র প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন, তারা অনেকেই দ্বিতীয় ডোজ পাননি। তখন Pfizer এবং BioNTech SE দ্বিতীয় ডোজ তাঁদের শরীরে প্রয়োগ করা হয়। 
 
ম্যাথু স্নেপ  অক্সফোর্ডের পেডিয়াট্রিক্স এবং ভ্যাকসিনোলজির অধ্যাপক, ইনি এই গবেষণার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি বলেন, "এটি সত্যই উদ্বেগজনক একটি অনুসন্ধান"। এটি কোনও উন্নত ইমিউন প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত কিনা, আমরা এখনও জানি না; আমরা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত ফলাফল পাওয়ার আশা রাখছি।"