ওয়েব ডেস্ক: বর্ষা মানেই জিভে জল আনা নানান মেনু। খাচ্ছেন মন খুলে। কিন্তু বর্ষা মানে বদহজম, পেট খারাপ, জ্বর। বাঁচার উপায় কী? এড়িয়ে চলবেন কোন খাবার?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কবি লিখেছেন, যারা বৃষ্টিতে ভিজেছিল। কিন্তু আমরা বোধহয় সবাই কমবেশি বৃষ্টিতে ভিজতে ভালবাসি। বর্ষা মানে আবেগ, বর্ষা মানেই কবিতা। বর্ষা মানেই প্রেম। বর্ষা মানেই খিচুড়ি-ইলিশ। বৃষ্টিভেজা বিকেলে মুচমুচে পকোড়া, চপ-সিঙাড়া। তেলেভাজা-মুড়ি। ভালবাসি ভেলপুরি, পাপড়িচাট। কিন্তু নিজের শরীরটাকেও তো ভালবাসতে হবে। রসনার তৃপ্তি মেটাতে গিয়ে যেন শরীরে বাসা না বাঁধে হাজারো অস্বস্তি।


বদহজম, পেটখারাপ, জ্বর। বর্ষার হাত ধরেই আসে এই সব উপসর্গ। বাঁচার উপায় কী? খাবার বেছে খান। কিছু ভাল লাগার খাবার বর্ষাকালে এড়িয়ে চলুন। কারণ, বাতাসে মাত্রাতিরিক্ত আর্দ্রতার কারণে বেশি ভাজা যে কোনও খাবার এই সময় হজম করতে সমস্যা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্ষাকালে অতি সুস্বাদু কিছু খাবার এড়িয়ে চলতেই হবে।


বর্ষাকালে আর্দ্রতা বেশি থাকে। হজমের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। জলবাহিত ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ ও ভাইরাল সংক্রমণ এই সময় বেশি। বর্ষাকালে শাক খুব  দ্রুত পচে যায়। ব্রকোলি, বাঁধাকপি, ফুলকপিতে বাসা বাঁধতে ভালবাসে পোকামাকড়। সমুদ্রের মাছ, চিংড়ি, কাঁকড়া বর্ষাকালে এড়িয়ে চলার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। কারণ, এই সময় ওদের বংশবৃদ্ধির সময়। তাই, টাটকা পাওয়া মুশকিল। খাদ্যে বিষক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা।


রাস্তার কেটে রাখা ফলে সবসময়ই বিপদ। বর্ষাকালে সমস্যা আরও বেশি। আর্দ্রতা বেশি থাকার কারণে এই সব কাটা ফলে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ দ্রুত হয়। রেড মিট গুরুপাক। বর্ষাকালে যেহেতু হজমের সমস্যা বাড়ে, তাই গুরুপাক খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল। তবে চলতে পারে চিকেন স্যুপ।


ঠান্ডা পানীয় শরীর থেকে মিনারেল কমিয়ে দেয়। ফলে হজমের ক্ষমতাও কমে যায়। জল ও লেবু-জল বেশি করে খাওয়া যেতে পারে। আদা চা বিকল্প হতে পারে। বর্ষাকালে পরিবেশ একটু ঠান্ডাই থাকে। জল খাওয়ার প্রবণতাও কমে যায়। গলদ সেখানেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সময় সারাদিনে অন্তত ৮ গ্লাস জল খেতে হবে।


হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ এবং প্রতিরোধের উপায়গুলো জেনে নিন