করোনার চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের প্রয়োগে সাময়িক স্থগিতাদেশ দিল WHO!
এর আগেই হাইড্রোক্সাইক্লোরোকুইন ভারতে সহযোগী ওষুধ হিসেবে করোনার বিরুদ্ধে কাজ করলেও মার্কিন রিপোর্ট অনুযায়ী, সে দেশে এই ওষুধ তেমন একটা প্রভাব ফেলতে পারেনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কিছুদিন আগেই করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন আর অ্যাজিথ্রোমাইসিন কতটা কার্যকরী হতে পারে, সেটা জানতেই অক্সফোর্ডে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরুর কথা বলা হয়েছিল। করোনা আক্রান্তদের উপর এই পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পাশাপাশি ৫০০টিরও বেশি কার্যালয়ের চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের উপরে এই পরীক্ষা চালানো হবে বলে জানা গিয়েছিল। কিন্তু মৃত্যুর ঝুঁকি এড়াতে এ বার হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের ট্রায়াল বন্ধের কথাই জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO।
সম্প্রতি ব্রিটিশ পত্রিকা ‘ল্যানসেট’(The Lancet)-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে একটি সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। এই প্রতিবেদন অনুযায়ী, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের প্রয়োগে করোনা রোগীদের মৃত্যুর ঝুঁকি আরও বেড়ে যেতে পারে। ‘ল্যানসেট’-এ প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, একশোটিরও বেশি আসপাতালের ৯৬ হাজারের বেশি করোনা আক্রান্তকে লক্ষ্য করে দেখা হয়েছে এই সমীক্ষায়। এই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের প্রয়োগে করোনা রোগীদের স্বাস্থ্যের উন্নতি তেমন কিছু হয়নি। উল্টে এই ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় বেশির ভাগেরই স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেছে।
জানা গিয়েছে, বিশ্বের মোট দশটি দেশ এই সমীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। ‘ল্যানসেট’-এ এই রিপোর্ট পিরকাশিত হওয়ার পরই সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা হিসাবে করোনার চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের প্রয়োগের উপর সাময়িক স্থগিতাদেশ দিয়েছে WHO।
এর আগেই হাইড্রোক্সাইক্লোরোকুইন ভারতে সহযোগী ওষুধ হিসেবে করোনার বিরুদ্ধে কাজ করলেও মার্কিন রিপোর্ট অনুযায়ী, সে দেশে এই ওষুধ তেমন একটা প্রভাব ফেলতে পারেনি। উল্টে, অনেক রোগীর শারীরিক অবস্থা আরও সঙ্কটজনক হয়ে গিয়েছে হাইড্রোক্সাইক্লোরোকুইনের প্রয়োগে। তাই মার্কিন বিজ্ঞানীদের থেকে ছাড়পত্র পায়নি ভারতের পাঠানো এই ওষুধ।