করোনা চিকিত্সায় ভারতের হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ বন্ধ করছে WHO!
কেন করোনা রোগীদের চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের প্রয়োগ বন্ধ করতে চলেছে WHO? জেনে নিন...
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের দৌড় কত, গত মে মাস থেকেই তা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছিলেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি ব্রিটিশ ওষুধ ও স্বাস্থ্যসেবা পণ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা (MHRA) অনুমোদনের পর করোনার চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের কার্যকারিতা জানতে ফের শুরু হয়েছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। জানা গিয়েছে, এ বারের পরীক্ষায় প্রায় ৪০ হাজার স্বাস্থ্যসেবা কর্মী ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকের উপর হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের প্রয়োগ করা হবে। কিন্তু তার আগেই করোনার চিকিৎসায় এই ওষুধের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ বন্ধ করতে চলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)!
জানা গিয়েছে, এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক পরিচালন কমিটির সুপারিশ মেনে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন, লোপিনাভির, রিটোনাভিরের (lopinavir/ritonavir) মতে অ্যান্টি ভাইরাল ওষুধের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ বন্ধ করতে চলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)!
২ জুলাই WHO-এর করোনা বিষয়ক গবেষণা এবং উদ্ভাবন শীর্ষক সম্মেলনে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় এই তিনটি অ্যান্টি ভাইরাল ওষুধের কার্যকারিতার বিষয় আন্তর্জাতিক পরিচালন কমিটির পর্যবেক্ষণ সামনে আসে। আন্তর্জাতিক পরিচালন কমিটির বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, করোনায় মৃত্যুর হার কমাতে তেমন কোনও প্রভাব নেই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন, লোপিনাভির, রিটোনাভিরের। করোনা রোগীদের সুস্থ করে তোলার ক্ষেত্রেও এই তিনটি অ্যান্টি ভাইরাল ওষুধের প্রভাবও তেমন উল্লেখযোগ্য নয়। তাই WHO-এর ওই সম্মেলনে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় এই তিনটি অ্যান্টি ভাইরাল ওষুধের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ বন্ধ করার সুপারিশ করেন আন্তর্জাতিক পরিচালন কমিটির বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: করোনার বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদী প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম অক্সফোর্ডের টিকা! দাবি প্রধান গবেষকের
জানা গিয়েছে, আন্তর্জাতিক পরিচালন কমিটির বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ মেনে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন, লোপিনাভির, রিটোনাভির— এই তিনটি অ্যান্টি ভাইরাল ওষুধের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ বন্ধ করতে চলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)! তবে WHO জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা বা নির্দেশ শুধুমাত্র হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনা রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। যে সব করোনা আক্রান্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নন, তাঁদের উপর এই তিনটি অ্যান্টি ভাইরাল ওষুধের পরীক্ষামূলক প্রয়োগে কোনও বাধা থাকছে না।