নিজস্ব প্রতিবেদন: আজ ওয়ার্ল্ড ডায়াবেটিস ডে বা বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’-এর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সারা বিশ্বে ৪২ কোটি ২০ লক্ষ মানুষ ডায়বেটিসে আক্রান্ত। আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ডায়বেটিসে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ১১ লক্ষ ৬ হাজার ৫০০। সবচেয়ে ভয়ের কারণ হল ইদানীং ৪-৫ বছরের শিশুও ডায়বেটিসে আক্রান্ত হচ্ছে।



COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, বছরে প্রায় ৪ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয় ডায়বেটিসের কারণ। ‘হু’-এর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর এইচআইভি বা ক্যান্সারের চেয়েও বেশি মানুষের মৃত্যু হয় ডায়বেটিসে। ক্রমশ বেড়ে চলেছে ডায়বেটিসে আক্রান্ত হওয়ায় হার।



ডায়াবেটিস দু’প্রকার। টাইপ ১ ডায়াবেটিস যা শরীরে ইনসুলিনের ঘাটতির ফলে হয়ে থাকে। আর টাইপ ২ ডায়াবেটিস যা শরীরে ইনসুলিনের অকার্যকারিতার কারণে হয়ে থাকে। ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক অসুস্থতা বাড়িয়ে তোলে। এই রোগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হল, অষুধ, শরীরচর্চা এবং খাওয়া-দাওয়া নিয়ম মেনে করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে, তবে তা কোনও ভাবেই পুরোপুরি নিরাময় করা সম্ভব নয়। এই রোগ সম্পর্কে সময় মতো সচেতন হতে পারলে দীর্ঘদিন স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্ভব। তাই ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতনতা জরুরি। এ বার চিনে নেওয়া যাক ডায়বেটিসের কয়েকটি প্রথমিক লক্ষণ...


ডায়বেটিসের প্রথমিক লক্ষণ:


১) বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরে সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলে তা কিডনিতে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে শরীর থেকে সুগার বের করে দেওয়ার জন্য। সে কারণেই ঘন ঘন প্রস্রাব পায়।


২) খুব অল্পতেই হাঁপিয়ে ওঠা শরীরে সুগারের মাত্রা বৃদ্ধির লক্ষণ। সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলে শরীরে জলের ঘাটতি হয়। আর ডিহাইড্রেশনের ফলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে।


৩) যখন শরীর থেকে সুগার বের করে দেয়ার জন্য কিডনিতে চাপ পড়ে তখন ঘন ঘন প্রস্রাব পায়। আর তখন কিডনি শরীরের কোষ থেকে ফ্লুইড নিতে থাকে। এতে শরীরে জলর ঘাটতি হতে থাকে, যার ফলে ঘন ঘন জল তেষ্টা পায়।


আরও পড়ুন: ঘুমের মধ্যেই হতে পারে মৃত্যু! ঝুঁকি বাড়াচ্ছে স্লিপ অ্যাপনিয়া


৪) হাত ও পায়ের আঙুল বা পুরো হাত অবশ বোধ করা শরীরে সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম প্রধান লক্ষণ। পরিস্থিতি মারাত্মক পর্যায়ের চলে গেলে এই লক্ষণ প্রকাশ পায়।


৫) শরীরে সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলে তার প্রভাব পড়ে দৃষ্টিশক্তির উপর। এর ফলে দৃষ্টিশক্তি ঘোলাটে হয়ে যাওয়ার সমস্যা তৈরি হয়।


৬) ডায়েট বা ব্যায়াম না করেই হুট করে অনেক বেশি ওজন কমতে থাকা শরীরে সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ।


৭) শরীরের কোনও অংশে কেটে বা ছড়ে গেলে তা না শুকানো এবং শুকাতে অনেক বেশি সময় লাগার বিষয়টিও শরীরে সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ।


উল্লেখিত লক্ষণগুলির কোনও একটি নিজের মধ্যে লক্ষ করলেই অবহেলা না করে যত দ্রুত সম্ভব চিকিত্সকের পরামর্শ মেনে রক্ত পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া উচিত।